ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩১

মোদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ১ জুন ২০১৯ শনিবার

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভের পর দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হলেন নরেন্দ্র মোদি। মোদির শপথের দিন (বিহস্পতিবার) যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

রাশিয়া থেকে সর্বাধুনিক, দূর পাল্লার ভূমি থেকে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ কিনছে ভারত। এতেই অসন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে একমাত্র চীন, ২০১৪ সালে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পেয়েছে রাশিয়ার কাছ থেকে। শুক্রবার ট্রাম্পের পররাষ্ট্র দফতরের এক উঁচু সারির কর্মকর্তা সাংবাদিকের বলেন, ‘‘মস্কোর কাছ থেকে দিল্লির এস-৪০০ কেনার সিদ্ধান্ত অর্থপূর্ণ।

এটা বড় কোনও ব্যাপার নয় বলে যেটা বলা হচ্ছে, সেটা আমরা মানতে পারছি না।’’একই সঙ্গে তার হুঁশিয়ারি, ভারত-মার্কিন সম্পর্কে এর ‘গুরুতর প্রভাব’ পড়বে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের সময় গত বছর ৫ অক্টোবর ৫০০ কোটি ডলার দিয়ে ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনা নিয়ে চুক্তি হয় দু’দেশের মধ্যে।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে বিবৃতি দিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, এস-৪০০ হস্তান্তর শুরু হবে ২০২০-তে। ২০২৩ সালের মধ্যে তা শেষ হবে।

কূটনীতিকদের একটি অংশের মত, আমেরিকা থেকেও ভারত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনে। এবং এটা যত দিন বাড়তে থাকবে, তত দিন রাশিয়া থেকে এস-৪০০ কেনায় ভারত-মার্কিন সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না।

এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মার্কিন ওই কর্মকর্তা স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমি তা মনে করছি না। নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে আমেরিকার প্রতিপক্ষ মোকাবিলার আইন (সিএএটিএসএ)-এর দিক দিয়ে ওই প্রতিরক্ষা ক্রয় তাৎপর্যপূর্ণ। ভবিষ্যতে উচ্চ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতা অসম্ভব হয়ে পড়তে পারে এতে। ভারত যদি এস-৪০০ কেনা নিয়ে এগোয়, তবে ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে তা গুরুতর প্রভাব ফেলবে।’’

তিনি মনে করিয়ে দেন, মিত্র দেশ বলে আপনা-আপনি ছাড়ের কোনও সুযোগ নেই ‘সিএএটিএসএ’-তে। প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা থাকলেও প্রতিটি বিষয় আলাদা আলাদা ভাবে খতিয়ে দেখা হয় এই আইনে।  

তিনি বলেন, ‘‘ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে এটা খুবই স্পষ্ট যে, রাশিয়া যেখানে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, সেখানে তাদের আধুনিক প্রযুক্তি নিলে ভুল বার্তা যাবে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।’’

আনন্দবাজার অবলম্বনে

এমএইচ/