রমজানে দাঁত-মুখের যত্নে করণীয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২৫ পিএম, ২ জুন ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৪:২৬ পিএম, ২ জুন ২০১৯ রবিবার
মুখের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হচ্ছে দাঁত। তবে, দাঁতে আক্রমণ করতে পারে বিভিন্ন ধরণের রোগ-জীবাণু। তাই একটু বাড়তি যত্ন নিলে দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। অন্যান্য সময়ের মতোই রমজানেও দাঁতের যত্ন নিতে হবে।
রমজানে আপনি কিভাবে দাঁতের যত্ন নিবেন? এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সম্প্রতি একুশে টিভির জনপ্রিয় ‘সিয়াম ও আপনার স্বাস্থ্য’ অনুষ্ঠানে ‘রমজানে মুখের বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিকার’ শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে।
এ নিয়ে আলোচনা করেছেন অধ্যাপক, ডা. মো. শফি উল্লাহ, মেন্ডি ডেন্টাল কলেজ ও চিফ কনসালট্যান্ট স্মাইল স্পেশালাইজড ডেন্টাল সার্ভিসেস। উপস্থাপনায় ছিলেন অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ।
অধ্যাপক, ডা. মো. শফি উল্লাহ বলেন, সুস্থ থাকার জন্য দাঁতের যত্ন সব সময়ই নিতে হবে। তবে রমজান মাসে যেহেতু সুবহে সাদিক থেকে সূযাস্ত পর্যন্ত কোনো খাবার গ্রহণ করা যায় না। সেক্ষেত্রে রাতের বেলায় দাঁত ব্রাশ করতে হবে। দিনের বেলায় মেসওয়াক দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা গেলেও পেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা যাবে না।
দাঁত সুস্থ রাখার জন্য ইফতার ও সেহরীর পরে ভালোভাবে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে। এ সময় সাধারণত দাঁতের ব্যথা এবং মাড়ি দিয়ে রক্ত বা পূজপড়া জনিত সমস্যা নিয়ে রোগীরা আমাদের কাছে আসে।
অনেকগুলো কারণে দাঁতে ব্যথা দেখা দিতে পারে। মুলত দুই কারণে হতে পারে।
এক. মাড়ি ব্যথার কারণে দুই. ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে। আর এই ব্যাকটেরিয়ার খালি চোখে দেখা যায় না।
তাই কিছু খাওয়ার আগে অবশ্যই সর্তক থাকতে হবে, মুখের যত্ন নিতে হবে। সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই মুখ ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে।
অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা খাবার দাঁতের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বেশি বেশি শাক-সবজি এবং ভিটামিন সি এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। এটি মুখের দুর্গন্ধকে বাড়িয়ে দেয়। দাঁত পরিষ্কারে নরম, নমনীয়, ছোট টুথব্রাশ ব্যবহার করতে হবে। বড় বা শক্ত টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করা যাবে না।
এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশি ফল খেতে হবে। প্রচুর পানি পান করতে হবে। পানি পানের মাধ্যমে মুখের আদ্রর্তা রক্ষা পায়। ফলে অনেক রোগ প্রতিরোধ হয় ও মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়। অন্য চায়ের পরিবর্তে গ্রিন টি খাওয়া যেতে পারে।
রমজানে মুখের প্রধান সমস্যা হলো মুখ থেকে দুর্গন্ধ আসা। মূলত মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার জন্য দায়ী জমে থাকা খাদ্যকণা ও মুখের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সালফাইড ও অ্যামোনিয়া তৈরি হওয়া। এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে অজু করার আগে নিয়মিত মেসওয়াক করা যেতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, পানি ও টুথপেস্ট যেন গলার ভেতর প্রবেশ না করে।
শ্রুতি লেখক: মাহমুদুল হাসান।
এমএইচ/ এসএইচ/