ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪,   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

বাবার কবরের পাশে শায়িত হবেন মমতাজউদদীন আহমদ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫১ পিএম, ২ জুন ২০১৯ রবিবার

নিজের ইচ্ছানুযায়ী বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন প্রখ্যাত নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার হাবিবপুর থানার গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার এ কথা জানান তার বড় ছেলে ডা. তিতাস মাহমুদ।

রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার (২ জুন) বিকেল ৩টা ৪৮ মিনিটে মমতাজউদদীন মৃত্যুবরণ করার পর তার বড় ছেলে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি জানান,হাসপাতাল থেকে এই কিংবদন্তির মরদেহ গুলশানের আজাদ মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তাকে গোসল করানো হবে। এরপর বাদ এশা তার মরদেহ রূপনগরের বাসার পাশে মদিনা মসজিদে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে তার প্রথম নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে।

এরপর সোমবার (৩ জুন) সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে। সেখান থেকে তাকে চাঁপাইনবাগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার হাবিবপুর থানার গ্রামে নিয়ে গিয়ে বাবার কবরের পাশে চিরশায়িত করা হবে। তার শেষ ইচ্ছে ছিল, বাবার কবরের পাশেই যেন দাফন করা হয়।

বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভোগা মমতাজউদদীন ১৫ দিন ধরে হাসপাতালে থেকে চিরবিদায় নিলেন। মৃত্যুকালে তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তার চার সন্তান হলেন- ডা. তিতাস মাহমুদ, তমাল মাহমুদ, তিয়াসা আহমেদ ও তাহিতি আহমেদ।

মমতাজউদদীন আহমদ ১৯৩৫ সালের ১৮ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। কলেজে পড়ার সময়ই ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে রাজশাহী সরকারি কলেজের মুসলিম হোস্টেলের ইট ও কাদামাটি দিয়ে যে শহীদ মিনার গড়ে উঠেছিল, তাতে ভূমিকা ছিল মমতাজউদদীনেরও।

কর্মজীবনে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ এবং পরে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগে অধ্যাপনা করেন।

এই কিংবদন্তির লেখা নাটক ‘কী চাহ শঙ্খচিল’ ও ‘রাজার অনুস্বারের পালা’ পশ্চিমবঙ্গের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য তালিকাভুক্ত হয়।

নাট্যকলায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৭ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। লাভ করেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার, শিশু একাডেমি পুরস্কার, আলাউল সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।

আরকে//