ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ঈদে শরীর সুস্থ রাখতে করণীয় (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩৭ পিএম, ৩ জুন ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৭:৫১ পিএম, ৩ জুন ২০১৯ সোমবার

এক মাস রোজার পর আসে ঈদ। এবার রোজার পুরোটা সময় গরমে কেটেছে। তারপরও ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রেখেছেন। আর ঈদকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের রয়েছে আনন্দ-ভাবনা, বিভিন্ন প্রস্তুতি। তবে ঈদে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কেননা শরীর সুস্থ না থাকলে ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে যাবে। তাই সারা মাস রোজা রাখার পর ঈদের দিন এবং এর পরবর্তী দিনে কিভাবে খাবেন এবং শরীর কিভাবে সুস্থ রাখবেন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ নিয়ে একুশে টিভির গুরুত্বপূর্ণ ‘দি ডক্টর’ অনুষ্ঠানে ‘ঈদ কাটুক আনন্দে’ শিরোনামে আলোচনা করা হয়েছে।

এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম, মেডিসিন বিভাগ পপুলার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। উপস্থাপনায় ছিলেন অধ্যাপক ডা. ইকবাল হাসান মাহমুদ। শ্রুতি লেখক- মাহমুদুল হাসান।

অধ্যাপক ডা. কাজী তারিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর ঈদ আসে। আর এ ঈদকে কেন্দ্র করে মানুষ বেড়াতে যায় এবং বিভিন্ন ধরণের খাবার খেয়ে থাকেন। অন্যান্য সময়ের মতো এ সময়েও শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই এ সময় সতর্ক থাকতে হবে।

এ সময়ে যদি কারো জ্বর আসে তাহলে শুরুতেই এন্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না। কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা পরে এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করতে হবে। মাথাব্যথার জন্য প্যারাসিটামল এবং পাতলা পায়খানার জন্য খাবার স্যালাইন খাবেন।

ঈদকে কেন্দ্র করে অনেকে বাড়িতে যাচ্ছেন তারা সঙ্গে করে কিছু ওষুধ নিয়ে যেতে পারেন। এছাড়াও কিছু শুকনো খাবার নিতে পারেন। পানি পানের ব্যাপারেও শতর্ক থাকতে হবে। এজন্য বিশুদ্ধ পানি সঙ্গে রাখতে হবে।

ঈদে মিষ্টি, গোশত, বিভিন্ন ধরণের পানীয় খাবার তালিকায় থাকে। অতিথি এলে প্রথমেই মিষ্টি দেওয়া হয়। নিজেরাও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি খাবার মুখে দিয়ে ঈদের দিনটি শুরু করেন। সত্যিকার অর্থে ঈদে মিষ্টি খাওয়ার রেওয়াজ থাকলেও এটা যতদূর সম্ভব সীমিত রাখাই ভালো।

যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা ঈদের দিন সীমিত পরিমাণ মিষ্টি খাবেন। তবে সুগার বেশি থাকলে না খাওয়াটাই উত্তম।
শরীরে চর্বির পরিমাণ বেড়ে গেলে স্বাস্থ্যের জন্য তা মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। রক্তে অতিরিক্ত মাত্রার চর্বি করোনারি হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই শরীরের চর্বি কমানোর সহজ উপায় হলো গরু বা খাসির গোশত কম খাওয়া।

ঈদের দিন হঠাৎ করে উল্টাপাল্টা খাওয়াতে পেট ফাঁপতে পারে, দেখা দিতে পারে পেটের পীড়া। যারা পেপটিক আলসারে ভুগছেন তাদের পেটে তীব্র ব্যথা হতে পারে। অনেকের পাতলা পায়খানা, পেট কামড়ানো, বারবার পায়খানাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ দিনে তাই বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন। তাই কখনো পেটপুরে বা অতিরিক্ত খাবার খাবেন না।

এছাড়াও যদি কোনো শারীরিক সমস্যা তীব্রভাবে দেখা দেয় তাহলে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে যোগাযোগ করবেন। কেননা ঈদের ছুটিতেও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক থাকেন।

এমএইচ/আরকে

ভিডিও-

https://www.youtube.com/watch?v=XSYoYksq53Y