বাংলাদেশ দলের প্রশংসায় বিদেশি গণমাধ্যম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৪ এএম, ৪ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৯ শুরুর চারদিনের মাথায় গত রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানের সাড়া জাগানো জয় পায় বাংলাদেশ। জয়ের পর বিশ্ব মিডিয়া উল্লেখ করে, পেছনের অনেক রেকর্ডকে ভেঙে দেয় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের অবস্থান ও বর্তমান পারদর্শীতা নিয়ে ভূয়সী প্রসংশা করেছে বিশ্বখ্যাত বিট্রিশ দৈনিক দ্যা ইন্ডিপেন্ডেট ও পাকিস্তানের দৈনিক দ্যা ডন।
দ্যা ইন্ডিপেন্ডেট বলেছে, অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ঐ ম্যাচে ২৫০ ইউকেট পূর্ণ করেছেন। এক দিনের ম্যাচে তার ৫০০০ রান পূর্ণ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপরীতে এ ম্যাচের হাত ধরেই। এ ম্যাচে ৫০ বল থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপরীতে তিনি ৭৫ রান করেছেন যা ম্যাচের গতিকে ঘুরিয়ে দেয়। ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়েও এই ম্যাচে বাংলাদেশ বেশি রান (৩৩০) করেছে।
এ ম্যাচে মুশফিকুর রহিম সাকিবের সঙ্গে জুটি বেঁধে অসাধারণ পান্ডিত্ব দেখিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমান তিন উইকেট নিয়েছেন যার বিপরীতি তিনি দক্ষিণ আফ্রিকাকে দিয়েছেন ৬৭ রান এবং সাইফুদ্দিন দুইটি উইকেট নিয়েছেন যারা বিপরীতে দিয়েছেন ৫৭ রান।
দক্ষিণ আফ্রিকা বাংলাদেশের এই ঝড়ো গতির উদ্যোমকে হারাতে চাইলেও বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচে তা আর সম্ভব হয়নি। ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশের অসামান্য দক্ষতায় দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং শেষ দিকে এতটাই বিধ্বস্ত ছিল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকা কোন উপায়ই পাচ্ছিল না তারা শুধু তাদের চ্যালেঞ্জকে প্রমাণ করতে চাইছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার ১০৪ রানে পরাজয়ের পর বাংলাদেশের সাথে বড় রেকর্ডে পরাজয় আফ্রিকাকে এক বড় গর্ততে ফেলেছে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের দৈনিক দ্যা ডন বলেছে, মুশফিকুর রহিম ও সাকিব আল হাসের দুর্দান্ত প্রতাপের কারণে অনেকটাই বিস্মিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপ জয়ের জন্য ৩৩০ রানই যেন ঐ ম্যাচে বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ডন ২০১৫ সালে বিশ্বকাপের কথা উল্লেখ করে বলে, বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানের পর সমর্থকদের উৎসাহে বাংলাদেশ আবারও তার জায়গাটি প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছে।
খেলার পরে বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন মাশরাফি বিন মুর্তজার কাছে খেলাটা বাংলাদেশের উন্নয়নের একটি চিহ্ন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলেন, ‘আপনি কি মনে করেন এটি একটি বিস্ময়কর ব্যাপার? আমরা এর চেয়েও সেরাটা দিতে পারি।’
এছাড়া ভারতের ‘আনন্দবাজার’-এর শিরোনাম “ওভালে ব্যার্ঘগর্জনে ধরাশায়ী দক্ষিণ আফ্রিকা, কীভাবে কক-প্লেসিদের হেলায় হারাল বাংলাদেশ”। খোদ দক্ষিণ আফ্রিকার ‘দ্য সিটিজেন’ পত্রিকার শিরোনাম, “বাঘের থাবা নিশ্চল শিকার হলো প্রোটিয়া শিবির”। অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় ক্রিকেট ওয়েবসাইট ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া’র শিরোনাম, “দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুর্দান্তভাবে হারিয়েছে বাংলাদেশ”। ভারতের ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-এর খবর “দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ রানে জিতে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু বাংলাদেশের”। অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত দৈনিক ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’-এর শিরোনাম, “উজ্জীবিত বাংলাদেশের কাছে আপসেটের শিকার দক্ষিণ আফ্রিকা”।
এমএস/