ঈদের দিন আল্লাহর পক্ষ থেকে যেসব পুরস্কার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৩৫ পিএম, ৫ জুন ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৪:৫৩ পিএম, ১৫ জুলাই ২০১৯ সোমবার
রমজান শেষে পশ্চিমাকাশে যখন চাঁদ উদিত হয় তখন সেই রাত চাঁদনী রাত অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের রাত। এই রাতকে পুরস্কারের রাত বলা হয়েছে।
সকাল হলেই মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কঠিন সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে রমজানকে অতিবাহিত করার ফল হিসেবেই এই পুরস্কার।
ঈদের আনন্দে যাতে আল্লাহকে ভুলে না যাই, সে লক্ষ্যে রমজানের ইবাদতের ন্যায় চাঁদ রাতেও আল্লাহর কাছে সমর্পণ করবো, ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল হবো, বেশি বেশি প্রার্থনা করবো, শেষ রাতে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবো। সমাজ, রাষ্ট্র এবং কবরবাসীদের জন্য দোয়া করবো।
ঈদুল ফিতরের সকালে আল্লাহ তাআলা সকল জনপদে ফেরেশতাদেরকে পাঠান, তারা প্রত্যেক রাস্তার মোড়ে মোড়ে দাঁড়ান। অতঃপর উচ্চস্বরে ঘোষণা করেন। যা জীন ও মানুষ ব্যতীত সকল প্রাণী শুনতে পায় : ‘হে মুহম্মদের উম্মত! তোমরা এক করুণাময় প্রতিপালকের দিকে বেরিয়ে এসো, যিনি পর্যাপ্ত পরিমাণে দান করেন এবং বড় বড় গোনাহ মাফ করেন।’
যখন বান্দারা ঈদের নামাজ আদায়ে ঈদগাহে সমবেত হয়, তখন আল্লাহ তাআলা ফেরেশতাদেরকে বলেন : ‘কোন শ্রমিক যখন তার কাজ সম্পন্ন করে, তখন তাকে কি প্রতিদান দেয়া উচিত?’ ফেরেশতারা বলেন- ‘হে আমাদের প্রভু, তার প্রতিদান এই যে, তার প্রাপ্য পুরোপুরিভাবে দেয়া হোক।’
আল্লাহ তাআলা বলেন : ‘তাহলে তোমাদেরকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি তাদের রমজানের রোজা ও রমজানের রাতের নামাজের প্রতিদান হিসেবে তাদের জন্য আমার ক্ষমা ও সন্তোষ ঘোষণা করলাম।’
আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন : ‘হে আমার বান্দারা, তোমরা আমার কাছে চাও। আমার সম্মান ও প্রতাপের শপথ, আজ তোমরা তোমাদের আখেরাতের সঞ্চয়ের জন্য যা কিছু চাইবে তা আমি দিব। আর দুনিয়ার জন্য যা কিছু চাইবে তাও আমি বিবেচনা করব। আমার মর্যাদার শপথ, আমি তোমাদের ভুল-ত্রুটি ক্ষমা করবো, যতক্ষণ তোমরা আমার দিকে মন নিবিষ্ট রাখবে। আমার সম্মান ও প্রতাপের শপথ, আমি তোমাদেরকে অপমানিত করবো না। তোমাদেরকে অপরাধীদের সামনে লাঞ্ছিত করবো না। তোমরা আমাকে সন্তুষ্ট করেছ, আমি তোমাদের উপর সন্তুষ্ট হয়েছি।’
এরপর ফেরেশতারা আনন্দিত হয় এবং রমজান শেষে এই উম্মতকে আল্লাহ তাআলা যা দান করেন, তাতে সন্তুষ্ট হয়ে যায়। (বায়হাকী)
আসুন, ঈদ শেষে রমজানে যে রকম ইবাদতের অনুশীলন হয়েছে তা যেন বজায় রাখতে পারি এ নিয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।
তথ্যসূত্র : মাওলানা হারুনুর রশিদের রমজানে করণীয় ও বর্জনীয় গ্রন্থ।
এএইচ/