ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৪ ১৪৩১

বাংলাদেশের কাছে হেরে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন টেন্ডুলকার!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৩৭ পিএম, ৫ জুন ২০১৯ বুধবার

২০০৭ সালে ক্যারিবিয়ানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটা ছিল ভারতের জন্য দুঃস্বপ্নের মত। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার কাছে বাজেভাবে হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল রাহুল দ্রাবিড়ের ভারতকে।

লজ্জার হারে বিমর্ষ শচিন টেন্ডুলকার নিয়েছিলেন ক্রিকেট ছাড়ার সিদ্ধান্ত। কিন্তু তার বড় ভাই এবং কিংবদন্তি ক্রিকেটার ভিভ রিচার্ডসের কথায় শেষ পর্যন্ত নতুন করে পথচলার সিদ্ধান্ত নেন ক্রিকেটের এই লিটল মাস্টার।

উদ্ধোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারে তার দল। বিশ্বকাপের ওই নবম আসরে বাংলাদেশ ছাড়াও শ্রীলংকার কাছে লজ্জাজনকভাবে হারে ভারত। তিনটি ম্যাচের একটিতে জয় পাওয়ায় গ্রুপ পর্ব থেকেই সটকে পড়ে সে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দলটি। ফলে, সমালোচনার মুখে পড়ে ভারতের ক্রিকেট। 

সেই দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য টেন্ডুলকার তিন ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৬৪ রান।  ফলে, ব্যক্তিগতভাবে তাকেও সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। এ সমালোচনা সহ্য করতে না পেরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি।

গেল রোববার লন্ডনে ইন্ডিয়া টুডের ‘সালাম ক্রিকেট-২০১৯’ ইভেন্টে শচীন ও ভিভের আলোচনায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।

এরপর ছয় বছর ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করেছেন টেন্ডুলকার। এ সময়ে বহু রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন। ষোলকলা পূর্ণ করে অবশেষে ২০১৩ সালে অবসর নেন তিনি।

নিজ শহর মুম্বাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতি টানেন, অবসান ঘটে শচিন যুগের।

দুই যুগ আন্তজার্তিক ক্রিকেটে রাজত্ব করা ব্যাটিং মাস্টার বলেন, ২০০৭ বিশ্বকাপে লিগ পর্যায় থেকে ছিটকে পড়ে ভারত। ঘটনাটি ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য বিব্রতকর ছিল। দলে কিছু রদবদল দরকার ছিল। সেটা না হলে আমি অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। ৯০ শতাংশ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল বলে জানান শচিন।

কিন্তু আমার ভাই তখন আমাকে বলেছিল যে, ২০১১ বিশ্বকাপ ভারতে, তুমি কি সেই বিশ্বকাপ জয় করে ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে চাও না?’

শচীন বলেন, বিশ্বকাপের পর আমি ফার্মহাউজে ছিলাম। সেসময় স্যার ভিভের ফোন পাই। তিনি বলেন, ক্রিকেটকে এখনো আমার অনেক কিছু দেয়ার আছে। আমাদের মধ্যে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা হয়। এটা ছিল বিশেষ মুহূর্ত। কারণ, আমার ব্যাটিং হিরো আমাকে চালিয়ে যেতে বলছিলেন। এরপর সিদ্ধান্ত বদল করি।

ব্যাটিং গুরু ও ভাইয়ের আশ্বাসে নতুন করে স্বপ্ন দেখা শুরু করেন লিটল মাস্টার। করেছেন অসংখ্য রেকর্ড।

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি, পরের বিশ্বকাপে (২০১১ সাল) সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছিলেন। সে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারত। ফলে বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে ধরার স্বপ্ন সত্যি হয় ক্রিকেটের এই ঈশ্বরের।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

আই//