ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পাকিস্তান নাকি শ্রীলংকা শক্তিমত্তায় কে এগিয়ে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৯ পিএম, ৭ জুন ২০১৯ শুক্রবার

বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে শুরুটা নিজেদের মত করে রাঙাতে পারেনি এশিয়ার দুই দেশ পাকিস্তান ও শ্রীলংকা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দু’দলই পরাজয়ের গ্লানি থেকে বের হতে পারেনি। ক্যারিবিয়ানদের কাছে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে আর এবারের অন্যতম ফেভারিট ‍নিউজিল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটের লজ্জাজনক হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।

তবে, পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ায় উভয় দল। টানা ১১ ম্যাচে হারের পর স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১৪ রানে জয় পায় পাকিস্তান আর বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩৪ রানে জয় পায় শ্রীলংকা।

ব্রিস্টলে আজ বিশ্বকাপের ১১তম ও নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে সাবেক এ দুই চ্যাম্পিয়ন। বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৩টায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা বিলম্ব হচ্ছে।

১৯৭৫ সাল থেকে শুরু হওয়া বিশ্বকাপের মহারণের ১২তম আসর পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে ৭ বার মুখোমুখি হয়েছে শ্রীলংকা। তবে, কখনোই জয়ের স্বাদ পায়নি সাঙ্গাকারা ও মাহেলারা। প্রতিবারই জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

বিশ্বকাপের বাইরে এখন পর্যন্ত এশিয়ার এ দু’দল ১৫২ বার মুখোমুখি হয়েছে। যাতে ৮৯টিতে পাকিস্তান আর ৫৮টিতে শ্রীলংকা জয় পায়। একটি ড্র আর ৪টি পরিত্যক্ত হয়।

র‌্যাকিংয়েও তাই তফাৎটা খুব বেশি না হলেও কম নয়। ৯৪ পয়েন্ট নিয়ে ৭ম স্থানে পাকিস্তান আর ৭৬ পয়েন্ট নিয়ে ৯ম স্থানে লঙ্কানরা। মাঝে রয়েছে মাশরাফিরা।

চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জয় থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান বেশ ভাল করলেও বিশ্বকাপের আগে টানা ১১ ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি পাকিস্তান। দলটির মূলশক্তি ব্যাটিং। কিন্তু আগের চিরচেনা পাকিস্তান যেন খুইয়ে ফেলেছে তার অতীতের ঐতিহ্য।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি সরফরাজরা। মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয় তারা। তবে, পাকিস্তান মানেই যে অঘটন তার প্রমাণ মিলেছে স্বাগতিকদের বিপক্ষে পরের ম্যাচে। তাই, শ্রীলংকার বিপক্ষে লড়াইটা যে বেশ হাড্ডাহাড্ডি হবে তা বলাই যায়।

অপরদিকে, ২০১৫ সালে শ্রীলংকার ইতিহাসে সেরা তিন ক্রিকেটার কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়বর্ধনা ও তিলরাকাত্নে দিলশান বিদায়ের পর থেকে দলটি কোনভাবেই স্বরুপে ফিরতে পারছেনা। সাম্প্রতিক সময়ে তেমন কোন সিরিজ জিততে পারেনি দলটি। এমনকি স্বাধীনতা দিবসে নিদাহাস ট্রফিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে ফাইনালের টিকেট ‍খুইয়েছিল দলটি।

২০০৭ ও ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে পরপর দুবার ফাইনালের টিকেট পেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি লঙ্কানরা। তবে, দলে এখনো দুই অভিজ্ঞ থিসারা পেরেরা ও লাসিথ মালিঙ্গা থাকায় যেকোন সময় যেকোন কিছু ঘটাতে পারে দলটি।

যদিও পূর্ব অভিজ্ঞাতায় পাকিস্তান কিছুটা  এগিয়ে থাকবে। তারপরও ক্রিকেট অনিশ্চতের খেলা। এখন মূল লড়াইয়ের অপেক্ষা। দেখা যাক পূরনো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে নাকি নতুন ইতিহাসের পথে পা রাখে শ্রীলংকা। 

শ্রীলংকা স্কোয়াড :

দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), লাসিথ মালিঙ্গা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, থিসারা পেরেরা, কুশল পেরেরা, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, কুশল মেন্ডিস, ইসুরু উদানা, মিলিন্দা সিরিবর্ধনে, আভিস্কা ফার্নান্দো, জীবন মেন্ডিস, লাহিরু থিরিমান্নে, জেফরি ভ্যান্ডারসে, নুয়ান প্রদীপ, সুরঙ্গা লাকমল।

পাকিস্তান স্কোয়াড :

সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), বাবর আজম, ফখর জামান, হারিস সোহেল, হাসান আলী, ইমাদ ওয়াসিম, ইমাম-উল-হক, মোহাম্মদ হাফিজ, মোহাম্মদ হাসনাইন, শাদাব খান, শাহীন শাহ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ, আসিফ আলী।

আই//