সর্বোচ্চ রান তাড়া করে বাংলাদেশের ৫ জয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০১ পিএম, ৮ জুন ২০১৯ শনিবার
ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি রানের টার্গেট তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড হলো ৩১৯ রানের। ২০১৫ সালের ৫ মার্চ স্কটল্যান্ডের করা ৩১৯ রানের জবাবে ১১ বল হাতে থাকতেই ৬ উইকেটের বিশাল জয় পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের নেলসনের মাঠে বাংলাদেশের এই রেকর্ডময় জয়ের ম্যাচে বিশ্বকাপের মঞ্চে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডও (তামিম-রিয়াদ-১৩৯ রান)।
এর আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩১৩ রান চেজ করে জয়ের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের দেয়া ৩১৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৩ বল হাতে থাকতেই ৪ উইকেটে বিজয়ী হয় টিম টাইগার। এছাড়াও ২০১৩ সালের ৩ নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটেই নির্ধারিত টার্গেটে পৌঁছায় টাইগাররা।
সর্বশেষ এ বছরের (২০১৯) ১৫ মে আয়ারল্যান্ডের দেয়া ২৯৪ রানের টার্গেটে ৭ ওভার এবং ৬ উইকেট হাতে থাকতেই সহজেই টপকে যায় বাংলাদেশ।
কার্ডিফে আজ (শনিবার) ইংল্যান্ডের সাথে খেলছে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রানের পাহাড় গড়েছে ইংল্যান্ড। বাংলাদেশকে তারা ছুঁড়ে দিয়েছে রেকর্ড ৩৮৭ রানের লক্ষ্য। ফলে জিততে হলে বিশ্বকাপে রেকর্ড রান তাড়া করেই জিততে হবে টাইগারদের।
ব্যাটিংয়ে নেমেই উড়ন্ত সূচনা করে ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ১৯.১ ওভারে ১২৮ রান করেন দুই ওপেনার। এরপর মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে মেহেদী হাসান মিরাজের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিনত হন বেয়ারস্টো। তার আগে ৫০ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন তিনি।
এরপর তিনে ব্যাটিংয়ে নামা জো রুটের সঙ্গে জুটি বেঁধে ফের ৭৭ রান যোগ করেন জেসন রয়। এই জুটিতে সেঞ্চুরি করেন রয়। মোস্তাফিজুর রহমানকে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্যে দিয়ে ৯২তম বলে শতরানের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন রয়।
সেঞ্চুরির পর আগের চেয়েও বেশি আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন জেসন রয়। ৩৫তম ওভারে মিরাজের প্রথম তিন বলে তিনটি ছক্কা হাঁকান এ ইংলিশ ওপেনার। চতুর্থ বলেও বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে মাশরাফির হাতে ক্যাচ তুলে দেন।
মিরাজের অফ স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ১২১ বলে ১৪টি চার ও ৫টি ছক্কায় ১৫৩ রান করেন জেসন রয়। বিশ্বকাপে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। তবে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৭৯তম ম্যাচে এটা নবম শতক।
এদিকে, জেসন রয় ও বেয়ারস্টোর ফিরে গেলেও তাদের গড়ে দেওয়া ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে ক্রিজে এসে ঝড় তোলেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জস বাটলার। সাইফউদ্দিনের বলে সৌম্যের হাতে ধরা পড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ব্যক্তিগত ৬৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। এরপরও ঝড় থামেনি। শেষ দিকে ক্রিস ওকস ৮ বলে ১৮ রান এবং লিয়াম প্লাঙ্কেট ৯ বলে ২৭ রান করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৮৬ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ও সাইফউদ্দিন দুটি করে এবং মাশরাফি ও মুস্তাফিজ একটি করে উইকেট নেন।
আরকে//