বাংলাদেশের পরাজয়ের ৭ কারণ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৩ পিএম, ৯ জুন ২০১৯ রবিবার
বিশ্বকাপে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশদের কাছে ১০৬ রানের হার মেনেছে টাইগাররা। ৩৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮০ রানে গুটিয়ে যায় মাশরাফিদের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টস জয়ের পর ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে টাইগার বোলারদের ওপর রীতিমতো তাণ্ডব চালায় ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরাজয়ের ৭টি কারণ হলো-
১. বল হাতে সাকিবের ‘অফ ডে’
সাধারণত বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপে নেতৃত্ব দেন সাকিব। তবে ইংল্যান্ড এ ম্যাচে তার ওপর চড়াও হয়ে খেলে। প্রথম ৩ ওভারে ৮ রান দেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১০ ওভার বল করে ৭১ রান দেন এ বাঁহাতি স্পিনার।
২. মাশরাফি-মোস্তাফিজের বার্জে ফর্ম
টুর্নামেন্টজুড়ে বাজে ফর্মে আছেন মাশরাফি-মোস্তাফিজ। মূলত তারা বাংলাদেশের স্ট্রাইক বোলার। তবে উইকেট শিকারে ব্যর্থ দুজনই। দুই প্রধান বোলার অকার্যকর থাকায় ইংল্যান্ডের রান উল্কার গতিতে বেড়েছে। কারোরই স্লোয়ার-কাটার কাজে লাগেনি।
৩. মিরাজ-মোসাদ্দেক অকার্যকর
আগের দুই ম্যাচে মাঝের ওভারগুলোতে দারুণ বোলিং করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে এ ম্যাচে মূলত সেখানেই খেই হারায় বাংলাদেশ। ৩০-৪০ ওভারে ৯০ রান তোলে ইংল্যান্ড।
৪. জেসন রয় ও জস বাটলারের ব্যাটিং তাণ্ডব
জেসন রয়ের ইনিংস ম্যাচটিতে বড় ভূমিকা পালন করে। ১৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১২১ বলে ১৫৩ রানের ঐতিহাসিক ইনিংস খেলেন তিনি। চার নম্বরে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার তোলেন কার্যকরী ৪৪ বলে ৬৪ রান।
৫. টাইগারদের বাজে ফিল্ডিং
ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশের ফিল্ডিং খুব একটা ভালো ছিল না। ফিল্ডিংয়ে ওভার থ্রোতে বেশকিছু রান দেয় টাইগাররা। বেশ কয়েকটি মিস ফিল্ডিংও হয়।
৬. ওপেনিং জুটির ব্যর্থতা
প্রথম দুই ম্যাচে ভালো শুরু করেন সৌম্য সরকার। তবে এদিন জোফরা আর্চারের গতির কাছে হেরে যান তিনি। তামিম ইকবাল ক্রিজে থাকেন অনেকক্ষণ। কিন্তু ব্যর্থতার ছায়া থেকে বের হতে পারেননি তিনি। ২৯ বলে ১৯ রান করেন এ ড্যাশিং ওপেনার। তিন ম্যাচেই ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি তামিম। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন ২৯ বলে ১৬। আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তোলেন ৩৮ বলে ২৪ রান।
৭. দুদলের লোয়ার অর্ডারে শক্তির পার্থক্য
ইংল্যান্ড ব্যাটিং ইনিংসে ৪৭ ওভার ১ বলে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়। আউট হন বেন স্টোকস। তবু রানের গতি থেমে থাকেনি। এর পর অষ্টম উইকেট জুটিতে ১৭ বলে ৪৫ রান তোলেন ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লানকেট।
শেষ ২০ ওভারে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ১১.৭ করে ২১৭ রান। অনেকে মনে করছেন, ব্যাটিং স্বর্গে সেখান থেকেও ম্যাচ জিতে আসা সম্ভব ছিল। কিন্তু সাকিবকে কেউ সঙ্গ দিতে পারেননি। ফলে তিনি সাজঘরে ফেরার পর রানের গতি কমে আসে। লোয়ার অর্ডারের পাঁচ ব্যাটসম্যান যোগ করেন মাত্র ৪৭। একমাত্র মোসাদ্দেক ১৬২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করেন।
তথ্যসূত্র: বিবিসি