ভারতে মন্দিরে শিশু ধর্ষণের মামলায় ছয় জন দোষী সাব্যস্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ১০ জুন ২০১৯ সোমবার
ভারতের কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছরের একটি মুসলিম শিশুকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে পঠানকোটের একটি বিশেষ আদালত।
ওই ঘটনায় সাবেক সরকারি অফিসার সঞ্জি রাম-সহ মোট সাত জনের নাম মামলায় থাকলেও এক জনকে আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
দোষীদের কমপক্ষে যাবজ্জীবন এবং সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে। গত ৩ জুন জেলা-দায়রা আদালতে এই মামলার শুনানি শেষ হয়। মামলাটির শুনানি হয় গোপনে।
জানা যায়, ২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি যাযাবর সম্প্রদায়ের এই শিশুকে অপহরণ করা হয়। পরে জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়ায় একটি মন্দিরে আটকে রেখে, মদ খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়। এর পর শ্বাসরোধ করে ও মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। ১৭ জানুয়ারি জঙ্গল থেকে ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। প্রবল চাপের মুখে ক্রাইম শাখাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্তে নেমে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর এবং এক হেড কনস্টেবলকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারী দল।
রাজস্ব দফতরের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সঞ্জি রাম ২০ মার্চ পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সঞ্জি রাম ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয় তার ছেলে বিশাল, তার ভাইয়ের ছেলে, তার এক বন্ধু আনন্দ দত্ত এবং আরও দুই পুলিশ অফিসার দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দ্র বর্মাকে।
মেয়েটির মা বলেন, ‘আমি সর্বদা ন্যায়বিচারে বিশ্বাস করেছি এবং ঈশ্বর আমাকে এর জন্য লড়াই করার শক্তি দিয়েছেন’। যদি দুজন প্রধান আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া না হয়, তবে তিনি ও তার স্বামী এই বিষয়ে উচ্চ আদারতে যাবেন। আমরা প্রয়োজনে খাব না বা পান করব না কিন্তু আমরা আমাদের মেয়ের হত্যার বিচার চাই।
/এনএম/