ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাংলাদেশ কি সেমিফাইনালে উঠতে পারবে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ১০ জুন ২০১৯ সোমবার

ত্রিদেশীয় সিরিজ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বড় লক্ষ্য নিয়েই বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুটাও হয়েছিল রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে। শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকাকে রীতিমত মাটিতে নামিয়েছে টাইগাররা। তবে সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে বেশ কাঠখড় পোহাতে হচ্ছে মাশরাফিদের।

নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩৩০ রানের বিশাল পাহাড় গড়েছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে জয় পাওয়ায় আত্মবিশ্বাসটা ভালই জন্মেছিল সাকিব-মুশফিকদের। কিন্তু শেষ দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে টাইগারদের। বোলিংয়ে যতোটা প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে, ব্যাটিংয়ে সাকিব ও মুশফিক ছাড়া বাকিরা কেউই নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি।

ফলে কিউইদের বিপক্ষে দুর্ভেদ্য গড়ে তুলতে পারলেও, অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হয়েছে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের কাছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার ব্রিস্টলে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলংকার মুখোমুখি হবে সাকিব-তামিমরা। আসরে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই বললেই চলে।

জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার তুষার ইমরান বলেন, শেষ দুটি ম্যাচ হেরে গেলেও বাংলাদেশের সামনে এখনো অনেক সুযোগ আছে। অতীতের ভুলগুলো পুনরাবৃত্তি না করলে ভাল ফল আসবে। তিনি বলেন, আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। বোলিংয়ে কিছুটা পরিবর্তন আনা যেতে পারে। বাংলাদেশের সামনে এখনো আসরের অন্যতম দুই ফেভারিট অস্ট্রেলিয়া ও ইন্ডিয়া রয়েছে। যাদের বিপক্ষে জেতা আমাদের জন্য অসম্ভব কিছু নয় বলে মনে করেন এ ক্রিকেটার।

বিশ্বকাপ মিশন শুরুর আগে অনেক হিসাব-নিকাশ কষতে হয়েছে টাইগারদের। ছিল ইনজুরির শঙ্কাও। অন্যান্য বারের ন্যায় এবারের বিশ্বকাপ আসর ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে। গ্রুপ পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে। কমানো হয়েছে দলের সংখ্যা। ফলে, প্রত্যেক দলই প্রত্যেকের মুখোমুখি হবে।

এবারের আসরে ১০টি দল প্রতিযোগীতা করছে। ফলে, ম্যাচ বাই ম্যাচ জয় পাওয়াটাই মুখ্য হিসেবে নিয়েছে প্রতিটি দল।
প্রত্যেকে ৯টি করে ম্যাচ খেলবে। গ্রুপ না থাকায় সর্বোচ্চ পয়েন্ট অর্জনকারী ৪ দল সেমিফাইনাল খেলবে। শুধু ম্যাচ জেতা নয়, জেতার হারও হিসেব করতে হচ্ছে এবারে।

বিশ্বকাপের মঞ্চটাই আসলে অনেক চ্যালেঞ্জমুখী। এখানে যেকোন দল যেকোন সময় যেকোন কিছু ঘটাতে পারে। বাংলাদেশের সামনে এখনো সে সুযোগ হাতছানি দিচ্ছে। এখনো ৬টি ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের সামনে। আগের ম্যাচের ভুলগুলো শোধরাতে পারলে আসরের সর্বোচ্চ আসনে থাকার সক্ষমতা আছে বলে মনে করেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
এমনকি অস্ট্রেলিয়া কিংবা ভারতের কাছে হারলেও ৬টি ম্যাচে জয় নিয়ে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যাবে। তবে তা নির্ভর করছে তামিমদের মেলে ধরার উপর।

দলের পারফর্মেনস ধরে রাখার পাশাপাশি রয়েছে ইনজুরির আশঙ্কা। গত মাসে ত্রিদেশীয় সিরিজে ইনজুরির কবলে পড়েছেন অধিনায়ক মাশরাফির পাশাপাশি তিন পেসার মুস্তাফিজ ও সাইফুদ্দীন ও রুবেল হোসেন। সাকিব আগে থেকেই। যদিও তিনি এখন ভালভাবেই ব্যাট চালাতে পারছেন। ফলে, সময় যত গড়াচ্ছে ইনজুরির আশঙ্কাও বাড়ছে। তরপরও, সামর্থের সবটুকু দিয়ে লড়াই করছেন টাইগাররা। সব ব্যার্থতা ভুলে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ সে প্রত্যাশাই বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমিদের।

আসরে তিন ম্যাচে তিন জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে এবারের অন্যতম ফেভারিট নিউজিল্যান্ড। দুই জয় আর এক হার নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে স্বাগতিক ইংল্যান্ড, দুই ম্যাচে দুই জয় নিয়ে তৃতীয় স্থানে কোহলির ভারত, তিন ম্যাচে দুই জয় নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে অস্ট্রেলিয়া, তিন ম্যাচে এক জয় করে নিয়ে যথাক্রমে পঞ্চম ও ষষ্ঠ অবস্থানে শ্রীলংকা, দুই ম্যাচে এক জয় নিয়ে সপ্তম স্থানে ক্যারিবিয়ানরা এবং তিন ম্যাচে এক জয় নিয়ে আটে মাশরাফির বাংলাদেশ। কোন ম্যাচ না জেতায় পয়েন্ট তালিকার তলানিতে পড়েছে শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানরা।

আই/আরকে