ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪,   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সেরাটা না দিতে পারলে নিজেরই বেশি খারাপ লাগে: মাশরাফি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩৯ পিএম, ১০ জুন ২০১৯ সোমবার

মাশরাফি বিন মর্তুজার সাম্প্রতিক সময়ে বল হাতে খুব একটা ভালো সময় কাটছে না। ব্যাট হাতেও আগের মত ঝড় তুলতে পারেন না। সতীর্থদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন বা বিশ্লেষণ না করে মাশরাফি তাই নিজের পারফরম্যান্স নিয়েই প্রকাশ করেছেন অসন্তুষ্টি।

মাশরাফি বলেন, আমার কাছ থেকে আমি নিজেও আরও বেশি প্রত্যাশা করি। ম্যাচ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে চাই। তা করতে না পারলে নিজেই নিজের কাছে প্রশ্ন করি। মানুষ কে কী বলল, সেটার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমি নিজে কী অনুভব করছি। সেরাটা না দিতে পারলে মানুষের চেয়ে নিজেরই বেশি খারাপ লাগে।

মঙ্গলবার (১১ জুন) দ্বাদশ বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হওয়ার আগের দিন, আজ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।

তিনি বলেন, হতাশ একেবারেই না। আপনি যখন পেশাদার জীবনে থাকবেন, যখন সেরাটা দিতে পারবেন না আপনাকে এই ধরনের প্রশ্ন করা হবে। এটা খুবই স্বাভাবিক। এটা মেনেও নিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় প্রথম দুই ম্যাচে উইকেটের যে অবস্থা ছিল, বেশির ভাগ পেসারদের ইকোনমি ছয়-সাড়ে ছয় করে ছিলো। আমাদের স্পিনাররা ভাল রোল প্লে করছে বা তাদের বেশি বল করতে হচ্ছে। গত ম্যাচে দরকার ছিল। আমি ১০ ওভার করেছি। হয়ত ৮/৯ ওভার পর্যন্ত আমার সবই ঠিক চলেছে। খারাপ সময় ভালো সময়ের পার্থক্য একেকজন একেকভাবে এক্সপ্রেস করে। আল্টিমেটলি

হারলেই দল নিয়ে, খেলোয়াড় নিয়ে সমালোচনা প্রসঙ্গে টাইগার দলপতি বলেন, আমি সব কিছু সত্যিকার অর্থে ইতিবাচকভাবে দেখার চেষ্টা করছি। আমার কাছে মনে হয় সবাই মানসিকভাবে ঠিক আছে। শুধু বাইরের আলোচনাগুলো…হয়তবা সবাই এক রকম না। বাইরের আলোচনা যেন ড্রেসিং রুমে না যায় সেটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তো সবাই আবেগী অনেক। রাতারাতি সব কিছু চাওয়া পাওয়া জানাতে পছন্দ করি। এটা খেলোয়াড়দের ভেতরও আছে। প্রত্যেক ম্যাচেই ভাল করতে হবে।

রিয়াদ যেভাবে ব্যাট করে সব ম্যাচেই এভাবে করতে হবে। তামিমও কিন্তু এই প্রত্যাশা নিয়েই যায়। তাই সমালোচনাটা যেন ড্রেসিং রুমে না যায়। দিন শেষে চাপ পড়ে। কাজেই এসব থেকে ওরা যত দূরে থাকতে পারবে আরও বেশি দিতে পারবে। প্রথম ম্যাচে রিয়াদের রোল যেটা ছিল সেটা পূরণ করেছে। গত ম্যাচে কেন পারেনি, ওর সঙ্গে কথা বললে বোঝা যাবে। দ্বিতীয় ম্যাচে সে ঠিক পথেই ছিল। যখন ভালো খেলা দরকার ছিলো তখনই আউট হয়ে গেছে। একইভাবে মিঠুনের কথাও বলব।

টিআই/