‘মি-টু’ মামলা থেকে মুক্তি পেলেন নানা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৮ পিএম, ১৪ জুন ২০১৯ শুক্রবার
বিকাশ বেহেল ও আলোকনাথের পর এবার ‘মি-টু’ মমলা থেকে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেতা নানা পাটেকর। ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া’য় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে কর্মক্ষেত্র যৌন হেনস্থার সমস্ত অভিযোগ থেকে নানা পাটেকরকে মুক্তি দিয়েছে দেশটির পুলিশ।
কর্মক্ষেত্রে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে প্রাক্তন অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্তর যৌন হেনস্থার অভিযোগ দিয়েই বলিউডে ‘মি-টু’ মুভমেন্ট শুরু হয়েছিল। তনুশ্রীর অভিযোগ ছিল, ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির একটি গানের শ্যুটিংয়ের সময় নানা পাটেকর তার গায়ে আপত্তিকরভাবে স্পর্শ করার চেষ্টা করেন।
এরপর তিনি নানা পাটেকরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতে অস্বীকার করেন এবং শ্যুটিং সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। ঘটনার পর বিশেষ রাজনৈতিক দলের গুণ্ডাদের দিয়ে তার গাড়িতে নানা পাটেকর ভাঙচুর করান বলে অভিযোগ করেছিলেন তনুশ্রী।
গত ৭ মাস আগে নানা পাটেকরের বিরুদ্ধে তনুশ্রীর দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই নানার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে মুম্বইয়ের ওশিওয়ারা থানা। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাছে তনুশ্রীর দাবি ছিল, নানাকে বয়কট করা হোক।
তনুশ্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নেয় ওশিওয়ারা থানার পুলিশ। মোট ১২ থেকে ১৩ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদের মধ্যে কেউই নাকি তনুশ্রীর সঙ্গে ঘটা এ ধরনের ঘটনার কথা মনে করতে পারেননি।
কেউই তনুশ্রীর অভিযোগের সপক্ষে কোনও তথ্যই পুলিশকে দিতে পারেননি। প্রসঙ্গত এই প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে ছিলেন অভিনেত্রী ডেইজি শাহ। তিনি ওই ছবিতে কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়ার সহকারী হিসাবে কাজ করেছিলেন।
নানার বিরুদ্ধে আনা তনুশ্রী অভিযোগের ভিত্তিতে উপযুক্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি বলে বৃহস্পতিবার আদালতকে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি, পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে নানার বিরুদ্ধে কোনও তথ্য প্রমাণ না থাকায় এই তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
এদিকে তনুশ্রী দত্তর আইনজীবী এ বিষয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ‘আমরা এখনই আশা হারাচ্ছি না, যত সময়ই লাগুক না কেন অভিনেতা নানা পাটেকর, কোরিওগ্রাফার গণেশ আচারিয়া, পরিচালক রাকেশ সাওয়ান্ত, প্রযোজক শামি সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে অভিযোগগুলি একদিন প্রমাণিত হবেই। পুলিশ কীভাবে একজন ব্যক্তিকে ক্লিনচিট দিতে পারে যখন অভিযোগ ৪ ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল?
এক্ষেত্র পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে নানা পাটেকরকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে আমরা উচ্চতর আদালতে আবেদন করবো।’
এ বিষয়ে তনুশ্রী দত্তকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘নানাকে ক্লিনচিট দেওয়ার ঘটনায় আমি এক্কেবারেই অবাক হইনি। কারণ আমরা ভারতীয় মহিলারা এ ধরনের ঘটনায় অভ্যস্ত। এদেশে পুলিশ থেকে আইন ব্যবস্থ সবই দূর্নীতিগ্রস্ত। নানার বিরুদ্ধে এর আগেও বহু অভিযোগ এসেছে। এই মামলার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষদর্শীরাও সাজানো।’
তথ্যসূত্র: জি নিউজ
এমএইচ/