বিশিষ্টজনদের প্রতিক্রিয়া
এ বাজেট বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে
বদরুল হাসান লিটন, রাজশাহী
প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ১৪ জুন ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৪:০৬ পিএম, ১৪ জুন ২০১৯ শুক্রবার
সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ, সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের এই স্লোগানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করেছেন। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আকার দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। জন্মশতবার্ষিকীতে এ বাজেট বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে বলে এ বাজেটকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজশাহীর জনপ্রতিনিধি ও বিশিষ্টজনরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর চলতি মেয়াদের প্রথম বাজেট। এর আকার যাই হোক না কেন সম্ভাবনাময়ী বাংলাদেশের জন্য এখন এর বাস্তবায়নই বড় কথা। এজন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা বলে মনে করেন রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করা হয়েছে, তা জনকল্যাণ ও উন্নয়নমুখী। এ বাজেট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহায়ক হবে।
মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। জাতির জনক যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন শেখ হাসিনা। তার হাত ধরে সোনার বাংলা গড়ার পথে আমরা যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি, এ বাজেট সেই স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে। আরও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য সংসদে যে জাতীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে তা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখা স্বপ্নপূরণে সহায়ক হবে।
ঘোষিত এ বাজেটকে উন্নয়নমুখী বলে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাজশাহীর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজিজুল আলম বেন্টু। তিনি বলেন, সরকারের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট উন্নয়নমুখী এবং ব্যবসাবান্ধব। এ বাজেট পাস হলে রাজশাহীসহ দেশের কাঙ্খিত উন্নয়ন হবে। সরকার মধ্যম আয়ের দেশ বিনির্মাণের যে স্বপ্ন দেখছে তা পূরণেও সহায়ক হবে। বাজেটে সরকার দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের কথা চিন্তা করার পাশাপাশি বাজেটে দেশের উন্নয়নের কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। বিশেষ করে সাধারণ মানুষ যাতে উন্নত জীবনযাপন করতে পারে সে দিক বিবেচনা করে গ্রামে শহরের সুবিধা দেয়ার যে পরিকল্পনা বাজেটে রাখা হয়েছে তা যুগান্তকারি পদক্ষেপ বলেও মন্তব্য করেন রাজশাহীর এই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনি বলেন, এটি চ্যালেঞ্জিং বাজেট। তবে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করা হলে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) অর্জন ও এ বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব। তবে বাজেটে রাজশাহীর মানুষকে শুভঙ্করের ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ রেশম শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মো. লিয়াকত আলী বলেন, এবার যে বাজেট প্রস্তাব করা হলো তা বাংলাদেশকে নিয়ে সরকারের স্বপ্নপূরণের বাজেট। এটি পাস হওয়ার পর বাস্তবায়িত হলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হবে। গেল অর্থবছরের বাজেট ছিলো নির্বাচনী বাজেট। তবে এবারের বাজেট স্বপ্নপূরণের। এ বাজেট সরকারের ভিশন-২০২১ বাস্তবায়নের বাজেট।