ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ধূমপানমুক্ত দেশ গড়তে বাড়ছে সিগারেটের দাম

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ১৮ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

বিগত বছর গুলোর মতো ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দাম বেড়েছে সকল প্রকার সিগারেটের। প্রস্তাবিত বাজেটে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী ধূমপান বিরোধী রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বিধান, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমানো এবং রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এ তিনটি বিষয়ের সমন্বয়ে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের দাম বাড়ানো হয়েছে। এই প্রস্তাবিত মূল্য ঠিক থাকলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে আরো একধাপ এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্নতম স্তরের প্রতি ১০ শলাকা প্যাকেট সিগারেটের দাম ৩৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৭ টাকা হয়েছে। মধ্যম স্তরের ৪৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৩ টাকা। উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার সিগারেটের মূল্য ৭৫ টাকা থেকে ৯৩ টাকা ও ১০৫ টাকা থেকে ১২৩ টাকা।

তবে দাম বাড়ানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ধূমপায়ী ও অধূমপায়ীরা। রাজধানীর ফার্মগেটে একজন ধূমপায়ী জানান, ‘শুধু সিগারেটের দাম বাড়িয়ে তো লাভ নাই। গুল জর্দ্দার দাম তো বাড়ে না। সেটা তো আরো বেশি ক্ষতিকর সরকার গুল, জর্দ্দার নিয়ন্ত্রণ করে না কেন?’অন্যদিকে ভিন্ন মত প্রকাশ করছেন অধূমপায়ীরা। তারা জানান, এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা খুব ভালো একটা সিদ্ধান্ত। এতে দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা অনেকাংশে কমবে। তবে শুধু সিগারেটের দাম বৃদ্ধি নয়, এরজন্য জরুরী তামাক আইনের সঠিক ব্যবহার।

দেশে ধূমপায়ীর সংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে প্রতিবছরই বাজেটে সিগারেটে দাম বাড়ানো হয়। এই মূল্য বৃদ্ধির সুফলও পেয়েছে বাংলাদেশ। গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে’র রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশে গত ৮ বছরে ২১.৭ শতাংশ ধূমপায়ী হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি দাম বৃদ্ধির সুযোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে উৎপাদিত হচ্ছে নিম্নমানের অবৈধ সিগারেট। বিভিন্ন গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী এই অবৈধ সিগারেটের বাজার প্রায় ২০০০ কোটি টাকারও বেশি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু সিগারেটের দাম বৃদ্ধি নয় পাশাপাশি দাম নিয়ন্ত্রণে আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও তার সঠিক বাস্তবায়ন জরুরী। তাই তামাকমুক্ত দেশ গড়তে বাজেটে সিগারেটের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি এই দাম যেন সঠিকভাবে কার্যকর হয় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন বাজার বিশ্লেষকরা।

টিআর