স্বাস্থ্যবীমা চালুর পরিকল্পনা আছে: প্রধানমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৩ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৬:৩৭ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য বীমা চালুর পরিকল্পনা আছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আমরা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর, ঘাটাইল ও কালিহাতীতে ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলক স্বাস্থ্য বীমা কার্যক্রম চালু করেছি। পরীক্ষামূলক এই কর্মসূচি সফল হলে সারাদেশে এটি চালু হবে।
বুধবার (১৯ জুন) জাতীয় সংসদের প্রশ্ন-উত্তরে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্ন-উত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য সরকার হেল্থকেয়ার ফিন্যান্সিং স্ট্র্যাটেজি ২০১২-২০৩২ প্রণয়ন করেছে। এর অধীনে প্রাথমিকভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি (এসএসকে)’ শীর্ষক পাইলট প্রকল্প কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। পাইলট এলাকায় দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের সদস্যদের ৭৮টি ভর্তিযোগ্য রোগের বিনামূল্যে সেবা দেওয়া হচ্ছে। পাইলট প্রকল্প ৩টি উপজেলা থেকে সংশ্লিষ্ট জেলার বাকি ৯টি উপজেলায় সম্প্রসারণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সম্প্রসারণ করা হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, কালিহাতীতে ২৭ হাজার ৮৪১টি, ঘাটাইলে ২৭ হাজার ২৩২টি ও মধুপুরে ২৬ হাজার ৪৫৫টি দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী পরিবারের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। এখন পর্যন্ত কালিহাতী উপজেলায় ২৭ হাজার ৮৪১টি, মধুপুরে ২৬ হাজার ২১৮টি এবং ঘাটাইলে ২৭ হাজার ১১৮টি এসএসকে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেনিফিট প্যাকেজে রোগীর সংখ্যা ৫০ থেকে ৭৮ করা হয়েছে। এসএসকের মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলমান।
গণফোরামের মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী জানান, মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ২০০৮ সালের সাড়ে ৪ কোটি থেকে বর্তমানে (এপ্রিল ২০১৯) ১৬ কোটি ৫ লাখে উন্নীত হয়েছে। একই সময় ইন্টারনেট গ্রাহক ৬০ লাখ থেকে ৯ কোটি ৩৭ লাখে উন্নীত হয়েছে।
সরকারপ্রধান বলেন, গত বছরের ১২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১-এর নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে। গত ১৯ মে হতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সম্প্রচার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুরু হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচক অনুযায়ী বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশকে পেছনে ফেলে ২০১৮ সালে ১১৫তম অবস্থানে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে।
আরকে//