নদীতে গোসল করতে গিয়ে হাবিপ্রবির শিক্ষার্থীর মৃত্যু
হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:৫৫ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯ বুধবার
আত্রাই নদীতে গোসল করতে গিয়ে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ১৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসফিকের হোসেন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে মোহনপুরের রাবার ড্যামে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে আত্রাই নদীতে গোসল করতে মারা যায় তাসফিক।
গোসলের সময় পা পিছলে পড়ে যায় তাসফিক। এ সময় তীব্র স্রোতে মুহুর্তেই নদীর পানিতে তলিয়ে যায় সে। পরে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে দিনাজপুর ফায়ার সার্ভিস এবং রাত সাড়ে ৯টায় রংপুরের দমকল বাহিনী রাত ১২টা পর্যন্ত ডুবুরি দিয়ে ঐ শিক্ষার্থীকে খোঁজতে থাকে। কিন্তু তারাও উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়। দীর্ঘ সময় খোঁজাখুঁজির পরে ১৯ জুন সকাল ৮টার দিকে মোহনপুর ব্রীজের পাশে তার লাশ ভাসতে দেখা যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়।
ক্যাম্পাসে মরদেহ আনার পর বুধবার (১৯ জুন) দুপুর সোয়া ১২টায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস এর উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন এর পরিচালনায় শেখ রাসেল হল মাঠ প্রাঙ্গণে তাসফিক হোসেন এর প্রথম জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা কর্মচারীসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। জানাযার নামাজ শেষে তার চাচা মো. শরীফ হোসেন (৪৫) ও মো. মোশাররেফ হোসেন এর কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম এক শোকা বার্তায় মেধাবী ছাত্র তাসফিকের মর্মান্তিক এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন। ক্যাম্পাস জুড়েও তার অকাল মৃত্যুতে শোকের মাতম বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, তাসফিক হোসেন ১৯৯৭ সালে ১২ নভেম্বর চাঁদপুর জেলার রূপসা থানার জামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন, মাতা তাহমিনা সুলতানা-এর তিন সন্তানের মধ্যে তাসফিকই ছিলেন বড়। শিক্ষা জীবনে তাসফিক নাসিরাবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, চট্টগ্রাম মডেল কলেজ থেকে ২০১৫ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। এরপর ২০১৭ শিক্ষাবর্ষে হাবিপ্রবি দিনাজপুর-এর বিজ্ঞান অনুষদে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হয়ে অধ্যয়নরত ছিলেন।
কেআই/