বড় সংগ্রহে অজিরা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:০৩ পিএম, ২০ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৭:১৬ পিএম, ২০ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেছে অস্ট্রেলিয়া। অজিদের ব্যাটিং তাণ্ডবে বাংলাদেশের বিপক্ষে বড় সংগ্রহ গড়তে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ৪৭ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৪উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রান।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। আর মাত্র ১৬.৩ ওভারেই দলীয় শত রানে পৌঁছায় এই জুটি।
উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের উপর চড়াও হয়ে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ। কোনভাবেই উইকেট পাচ্ছিলেন না বাংলাদেশী বোলাররা। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।
অবস্থা বেগতিক দেখে ২১তম ওভারে এসে পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকারের হাতে বল তুলে দেন মাশরাফি। সুযোগ পেয়ে অধিনায়ককে হতাশ করেননি পার্টটাইমার সৌম্য। নিজের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই অ্যারন ফিঞ্চকে আউট করার মধ্য দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন সৌম্য।
টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলে দিতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ। সাজঘরে ফেরার আগে উদ্বোধনীতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন ফিঞ্চ।
ফিঞ্চ আউট হওয়ার পর মনে হয়েছিলো এবার বুঝি অজিদের চেপে ধরবে টাইগাররা। কিন্তু না, সেটা আর হতে দেন নি ক্রিজে নতুন আসা উসমান খাজা ও ডেভিড ওয়ার্নার। বাংলাদেশি বোলারদের উপর রীতিমত তাণ্ডব চালিয়ে ২৩.৩ ওভারে গড়েন ১৯২ রানের আগ্রাসী জুটি।
শেষ পর্যন্ত আউট হন মারকুটে বাঁহাতি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। তার আউটের মধ্যে দিয়েই ভাঙে অজিদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি। তবে কোন স্বীকৃত বোলার নয়, বাংলাদেশ শিবিরের ত্রাতা সেই সৌম্য সরকার। ৪৫তম ওভারে বল হাতে এসে আবারো সেই রুবেলে হাতে ধরা পড়তে বাধ্য করেন ওয়ার্নারকে। ১৬৬ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে আউট হন ওয়ার্নার। ১৪৭ বল খেলে চৌদ্দটি চার ও পাঁচটি ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসটি। পরে সৌম্যের বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ তুলে দেন উসমান খাজা। তিনি ৮৯ রান করে আউট হন। এরআগে ম্যাক্সওয়েল ১০ বলে ৩২ রান করে রান আউট হন।
ইতিমধ্যে বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় পজিশনে আছে অস্ট্রেলিয়া। ৫ ম্যাচে ৪ জয়ে অজিদের সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। আর পাঁচ ম্যাচে দুই জয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।