লড়াই করে হারলো বাংলাদেশ
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:০৮ এএম, ২১ জুন ২০১৯ শুক্রবার | আপডেট: ০৮:৪৮ এএম, ২১ জুন ২০১৯ শুক্রবার
শেষ পর্যন্ত লড়াই করেই হেরে গেল টাইগাররা। অজিদের ছুঁড়ে দেয়া ৩৮২ রানের টার্গেটে নেমে ৪৮ রানে হেরে যায় মাশরাফিরা। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৩৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে আশার আলো দেখলেও একের পর এক উইকেট পতনের মাধ্যমে ৩৩৩ রানের মাথায় থেমে যেতে হয় টাইগারদের। মুশফিক ৯৭ বলে ১০৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।
এদিকে বিশাল রানের পাহাড় টপকাতে নেমে শুরুটা ভালই করেছিল সৌম্য-তামিম। কিন্তু ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন সৌম্য সরকার। মাত্র ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে টাইগারদের।
এবারের বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। আগের চার ম্যাচে দুই ফিফটির পর ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করে চলতি আসরে সর্বোচ্চ রান করে শীর্ষে উঠে যান বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে অসাধারণ ব্যাটিং করে ফিফটির পথেই ছিলেন সাকিব। মার্কু স্টইনিসের বলে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। তার আগে ৪১ বলে চারটি চারের সাহায্যে ৪১ রান করেন তিনি।
ভালো শুরুর পরও নিজের ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ফিফটি তুলে নেয়ার পর মারমুখি ভঙিতে খেলে যাওয়া এ ওপেনার মিসেল স্টার্কের বলে ভুল শটে আউট হন। তার আগে ৭৪ বলে ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তামিম।
আগের ম্যাচে ৬৯ বলে ৯৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আশা জাগিয়ে ছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ঠিক পরের ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাহাড় ডিঙাতে নেমে হতাশ করলেন লিটন।
অজিদের বিপক্ষে ১৭ বলে ২০ রান করে ফেরেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।
তবে আশার আলো জাগিয়েছিল মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পঞ্চম উইকেটে ৮৩ বলে শতরানের জুটি গড়েন তারা। আর এই জুটিতেই জোড়া ফিফটি তুলে নেন মুশফিক ও রিয়াদ। তবে সে পথ আর বেশি দূরে যেতে দেননি অজি বোলার নিলি। ৫০ বলে ৬৯ রান করে কামিন্সকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ।
তার আউটের পর গত মোসাদ্দেকের বিপরীতে নামা সাব্বির হোসেনও আবারও হতাশ করেছেন। এক বল খেলে শূন্য রানে ফিরেছেন তিনি।
তবে মুশফিকুর রহিমের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ভালভাবেই নিজেদের সামর্থের পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
এর আগে ডেভিড ওয়ার্নারের অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১৬৬ রান করেন ওয়ার্নার। এছাড়া ৮৯ রান করেন উসমান খাজা। ৫৩ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডের নটিংহামে বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে অস্ট্রেলিয়া। ৯.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৫০ রান যোগ করেন দুই ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ও ডেভিড ওয়ার্নার। উইকেটে থিতু হওয়ার পর থেকেই একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকান ওয়ার্নার-ফিঞ্চ।
উদ্বোধনী জুটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ১২১ রানের জুটি গড়েন অ্যারন ফিঞ্চ। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা তাদের এই জুটি ভাঙেন সৌম্য সরকার। মাশরাফি, মোস্তাফিজ, সাকিব, রুবেল মিরাজরা ইনিংসের প্রথম ২০ ওভার বল করেও দলকে ব্রেক থ্রু এনে দিতে ব্যর্থ হন।
টুকটাক বোলিং করা জাতীয় দলের ওপেনার সৌম্য সরকার ২১তম ওভারে বোলিংয়ে এসেই অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন। রুবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরার আগে ৫১ বলে ৫টি চার ও দুই ছক্কায় ৫৩ রান করেন ফিঞ্চ।
এরপর দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৯২ রানের জুটি গড়েন ডেভিড ওয়ার্নার। এই জুটিতেই শতরানের মাইলফলক স্পর্শ করেন অস্ট্রেলিয়ান এ ওপেনার। বিশ্বকাপে তৃতীয় সেঞ্চুরি করার পর একেরপর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দেড়শ পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। তার ব্যাটে ভর করে রানের পাহাড় গড়ার পুঁজি পায় অস্ট্রেলিয়া।
উইকেটে অনবদ্য ব্যাটিং করে যাওয়া ওয়ার্নারকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার।
শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানে ইনিংস সমাপ্ত করে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৮ ওভারে ৫৮ রানে ৩ উইকেট নেন সৌম্য সরকার।
আই/এসি