ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

জাতীয় অধ্যাপক ডা. এম আর খান আর নেই

প্রকাশিত : ০৭:১০ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৬ শনিবার | আপডেট: ০৭:১০ পিএম, ৫ নভেম্বর ২০১৬ শনিবার

বাংলাদেশে শিশু চিকিৎসার পথিকৃত ও জাতীয় অধ্যাপক  ডা. এম আর খান আর নেই। রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ইন্তেকাল করেছেন তিনি। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। স্বাধীনতা পদক ও একুশে পদকে ভূষিত এই শিশু বিশেষজ্ঞের মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যসহ নানা জটিল রোগে ভূগছিলেন ডা. এম আর খান। রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেল ৪টা ২৫ মিনিটে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে ডা. এম আর খানের বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট সাতক্ষীরার রসুলপুরে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫৩ সালে এমবিবিএস পাস করেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে। এরপর এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিটিএমঅ্যান্ডএইচ, এমআরসিপি, লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিসিএইচ, ঢাকার তৎকালীক পিজি হাসপাতাল থেকে এফসিপিএস, ইংল্যান্ড থেকে এফআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। জাতীয় এই অধ্যাপক শুধু অনুকরণীয় ছিলেন না, তার কর্মে ছিলেন সমাজসেবায় অন্তপ্রাণ একজন। পেনশনের টাকা দিয়ে গড়েন ডা. এম আর খান-আনোয়ারা ট্রাস্ট। দুস্থ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, তাদের আর্থিক-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে এ ট্রাস্টের মাধ্যমে কাজ করেছেন নিরন্তর। প্রতিষ্ঠা করেছেন শিশুস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। গড়ে তুলেছেন সাতক্ষীরা শিশু হাসপাতাল, যশোর শিশু হাসপাতাল, সাতক্ষীরা ভোকেশনাল ট্রেনিং সেন্টার, উত্তরা উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা সেন্ট্রাল হাসপাতাল, নিবেদিতা নার্সিং হোমসহ আরও বহু প্রতিষ্ঠান। দেশ থেকে পোলিও দূর করতে র্তা উদ্যোগী ভূমিকা আজো অম্লান। ধূমপানবিরোধী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠান ‘আধূনিক’-এর প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছিল তার সরব বিচরণ। প্রতিষ্ঠানতুল্য এই মানুষটির জীবনী স্থান পেয়েছে কেমব্রিজ থেকে প্রকাশিত ইন্টারন্যাশনাল হু ইজ হু অব ইন্টেলেকচুয়ালে। পেয়েছেন স্বাধীনতা পদক, একুশে পদক, আর্ন্তজাতিক ম্যানিলা অ্যাওয়ার্ডসহ আরও অনেক পুরস্কার। এম আর খান বার্ধক্যজনিত নানা জটিল রোগে পরাজিত হয়ে চলে গেলেন ঠিকই কিন্তু তিনি বেঁচে থাকবেন তার কাজে।