ইরানকে আলোচনায় বসার হাস্যকর প্রস্তাব ট্রাম্পের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ১১:৫৯ এএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার
ফের ইরানের সঙ্গে ‘নিঃশর্ত’ আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার মার্কিন নিউজ চ্যানেল এনবিসি’র সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আগ্রহ প্রকাশ করেন। খবর পার্সটুডে।
তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে তার কোনো পূর্বশর্ত নেই। একইসঙ্গে তিনি স্ববিরোধী মন্তব্য করে বলেন, সম্ভাব্য আলোচনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে অবশ্যই কথা বলতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এ নিয়ে গত কয়েকমাসে অসংখ্যবার ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করলেন। তিনি এমন সময় এ আগ্রহ প্রকাশ করছেন যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে টার্গেট করে সামরিক অবস্থান শক্তিশালী করেছে আমেরিকা।
এছাড়া, দীর্ঘদিনের আলোচনা শেষে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরান যে পরমাণু সমঝোতা সই করেছিল তা থেকে আমেরিকাকে বের করে নিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের আলোচনার প্রস্তাব পত্রপাঠ প্রত্যাখ্যান করেছে তেহরান। ইরানে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল খামেনেয়ী গত ১৩ জুন তেহরান সফরকারী জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবেকে বলেন, আমেরিকাকে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করে না ইরান।
তিনি আরো বলেন, পরমাণু সমঝোতা অর্জন করতে গিয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় বসে যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে তার পুনরাবৃত্তি করতে চায় না তেহরান। কোনো স্বাধীনচেতা ও বিজ্ঞ জাতি চাপের মুখে আলোচনায় বসে না বলেও ইরানের সর্বোচ্চ নেতা মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে ‘সত্যনিষ্ঠা’র তীব্র অভাব রয়েছে। আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পাশ্চাত্যের পরমাণু সমঝোতা সই হওয়ার পর প্রথম যে ব্যক্তি এটি লঙ্ঘন করেন তিনি হলেন (তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট) বারাক ওবামা। অথচ এই ওবামাই ইরানের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে মে মাসে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নেন এবং ওই বছরেরই নভেম্বরে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন।
কিন্তু সৌদি আরব ও ইহুদিবাদী ইসরাইল ছাড়া ট্রাম্পের এ পদক্ষেপকে বিশ্বের কোনো দেশ সমর্থন জানায়নি। এ অবস্থায় ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসে আরেকটি চুক্তি করতে চান ট্রাম্প।
কিন্তু তেহরান বলেছে, নতুন চুক্তি করতে আলোচনায় বসার আগে আমেরিকাকে আগের চুক্তিতে ফিরে আসতে হবে।
এমএইচ/এমবি//