ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

তীরে এসে তরী ডুবলো আফগানিস্তানের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫২ পিএম, ২২ জুন ২০১৯ শনিবার

ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের খুঁজে পেয়েছিলো আফগানিস্তান। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে মাত্র ২২৪ রান তুলে বিশ্বকাপের ফেবারিট ভারত।

পরে এই রান তাড়া করতে নেমে প্রথমে ভালোই এগিয়েছিলো আফগানিস্তান। জয়ের আশাও তৈরী হয়েছিলো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরী ডুবে তাদের। ১১ রান বাকী থাকতেই সব উইকেট হারায় আফগানরা। ২১৩ রান করতে সমর্থ হয় তারা। আর চাপে থাকা ভারত জিতে গিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার প্রমাণ দেয়।

শনিবার টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় ভারত। শুরু থেকেই তারা ছিল চাপে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারেই ভয়ংকর রোহিত শর্মাকে তুলে নেয় আফগানিস্তান। মুজিব উর রহমানের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে রোহিত বোল্ড হন ১ রানেই। ধীরে শুরু করা ভারতের বোর্ডে তখন মাত্র ৭ রান।

দ্বিতীয় উইকেটে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ৫৭ রানের জুটি কোহলির। দেখেশুনে খেলতে থাকা রাহুলকে (৩০) সাজঘরের পথ দেখান মোহাম্মদ নবী। ৬৪ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপেই পড়ে ভারত।

সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা কোহলি আর বিজয় শঙ্করের, তৃতীয় উইকেটে তারা গড়েন ৫৮ রানের জুটি। ২৯ রান করা বিজয় শঙ্করকে এলবিডব্লিউ করে এই জুটিটি ভাঙেন রহমত শাহ।

এরপর অল্প সময়ের মধ্যেই সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খায় ভারত। দলের ব্যাটিং স্তম্ভ বিরাট কোহলি ৬৩ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ৬৭ রান করে মোহাম্মদ নবীর শিকার হন। ১৩৫ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত।

পঞ্চম উইকেটে বিপদ সামলে উঠেন অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনি আর কেদর যাদব। তবে হাত খুলে খেলতে পারেননি তারাও। ১৪ ওভারের জুটিতে মাত্র ৫৫ রান তুলতে পারেন এই যুগল।

অবশেষে ৪৫তম ওভারে এসে ধোনিও আউট হয়ে যান। ৫২ বলে ২৮ রানের ধীরগতির এক ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান রশিদ খানের বলে চড়াও হতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন। হার্দিক পান্ডিয়াও (৯ বলে ৭) ভয়ংকর হতে পারেননি।

এরই মধ্যে শেষ ওভারে চমক দেখান গুলবাদিন নাইব। তুলে নেন জোড়া উইকেট। মোহাম্মদ শামির (১) সঙ্গে হাফসেঞ্চুরিয়ান কেদর যাদবকেও (৬৮ বলে ৫২) আউট করেন আফগান অধিনায়ক।

অন্যদিকে অফগানিস্তান  ২২৫ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমে প্রথমে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান করতে পারলেও পরে এক এক করে উইকেট পড়তে থাকে। শেষ নবী ম্যাচের হাল ধরলেও এ পাশে ব্যাটসম্যানের তেমন সমর্থন তিনি পাননি। অন্যদিকে তিনিও আর বেশি দূর এগোতে পারেননি। ১১ রান বাকী থাকতেই অল আউট হয়ে যায় আফগানিস্তান।

এনএম/এসি