ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

বর্ণিল আয়োজনে আ’লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৪৩ এএম, ২৩ জুন ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ১০:৪৫ এএম, ২৩ জুন ২০১৯ রবিবার

ইতিহাস ও গৌরবের একটা সমুজ্জল নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। প্রতিটি পদচারণায় যার সংগ্রাম, স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের পূর্ণ মুক্তির স্নিগ্ধতা জড়িয়ে রয়েছে। যে দলের হাত ধরেই বাংলাদেশে স্বাধীনতা রচিত হয়েছে। দেশের জনমানুষের কথা বলার একমাত্র এ প্লাটফর্মই মানুষের আস্থার ঠিকানা।

যে ঠিকানায় নির্ভিঘ্নে দেশ তথা বিশ্ববাসী অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছে সেই কবে থেকে। এ আওয়ামী লীগেরই আজ ৭০ জন্মদিন। এ জন্মদিন শুধু একট দলেরই জন্মদিন নয়, বাঙ্গালির অস্তিত্বের পূর্ণ আবেশ।

আওয়ামী লীগের জন্মদিন তথা ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বহূরূপী সাজে সজ্জ্বিত হয়েছে দেশ। রাজধানীজুড়ে আন্দোলন-সংগ্রাম, অর্জন-সাফল্যের বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। টানা তৃতীয়বার এবং দেশের চারবারের ক্ষমতাসীন এ দলটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

যে ভবনে এ দলের সূচনা হয়েছিল পুরান ঢাকার সেই রোজ গার্ডেন হয়ে নবাবপুর রোড থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ রাজধানীজুড়ে আলোকসজ্জা ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ডের মাধ্যমে রাজধানী এক অনন্য মাত্রায় সেজে উঠেছে।

দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা দেশে মাসব্যাপি নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। জ্যেষ্ঠ নেতারা জানান, রাজধানীজুড়ে বর্ণিল আলোকসজ্জাসহ প্রধান প্রধান সড়কে ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ডে সজ্জ্বিত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এসব কর্মসূচি সফল করার জন্য দলের নেতারা ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগসহ নিজেদের মধ্যে কয়েক দফায় বৈঠকে অংশ নেন।

রাজধানী ঘুরে দেখা যায়, স্বাধীনতার সারথী এ দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সারা ঢাকাকে দলটির উজ্জ্বল অর্জন এবং গৌরবের অবস্থান প্রকাশে সড়কের আইল্যান্ড, সড়কের দুইপাশ, লাইট পোস্টে রঙিন আলোকসজ্জা করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ছবি সংবলিত ফেস্টুন রাস্তার মোড়ে মোড়ে স্থান পেয়েছে। অনেক বিলবোর্ড ও ফেস্টুনে এক ঝলকেই দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য অর্জন। 

এছাড়াও প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লড়াই সংগ্রামের অনবদ্য কাণ্ডারি জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকসহ জাতীয় চার নেতার ছবি ঠাঁই পেয়েছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে সোনালি অর্জন-সাফল্য, উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ছবি এবং ছোট ছোট উন্নয়ন স্লোগান সংযুক্ত করা হয়েছে।

এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ব্যানার-ফেস্টুন-বিলবোর্ডে ছবি ব্যবহারে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা কঠোরভাবে মানার আহ্বান জানানো হয় দলের পক্ষ থেকে। তাই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সজ্জায় বিলবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং প্রতিষ্ঠালগ্নের নেতারাসহ জাতীয় চার নেতাদের ছবিই স্থান পেয়েছে।

স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী এ দলটি ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে ৭১ তম বছরে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। ৪৭ এ ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর পাকিস্তানের অন্যায় অবস্থান ও নিপিড়নের বিরুদ্ধে একমাত্র কাণ্ডারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এ দলটি এ দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।

১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ও পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর জননেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শামসুল হকের নেতৃত্বে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

উল্লেখ্য, জন্মলগ্নে এই দলের নাম ছিল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। জন্মলগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজ নির্মাণের আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ।

যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণের মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘পূর্ব  পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’ নামকরণ করা হয়।

এমএস/