ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিরাটদের যে ত্রুটিগুলো দেখিয়ে দিল আফগানরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:০০ পিএম, ২৩ জুন ২০১৯ রবিবার

এবারের বিশ্বকাপে অঘটন ঘটানোর মঞ্চটা প্রায় তৈরি করে ফেলেছিল আফগানিস্তান। ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের খুঁজে পেয়েছিলো আফগানরা। পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেটে মাত্র ২২৪ রান তুলে বিশ্বকাপের ফেবারিট ভারত।

সাউদ্যাম্পটনে গতকাল শনিবার ম্যাচটির ভাগ্য দাঁড়িপাল্লার মতো একবার ভারতের দিকে ঝুঁকেছে, তো একবার আফগানদের দিকে। শেষ পর্যন্ত ১১ রান বাকি থাকতেই সব উইকেট হারায় আফগানরা। ফলে চাপে থাকা ভারত জিতে গিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার প্রমাণ দেয়। কিন্তু ম্যাচ জিতলেও অনেক শিক্ষা পেয়েছে কোহলিরা।

লোকেশ রাহুল যে এখনও ‘ধওয়ান’ হয়ে উঠতে পারেননি তার প্রমাণ মিলল সাউদ্যাম্পটনে। এ দিন রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর প্রয়োজন ছিল একটা ভাল পার্টনারশিপের। কিন্তু অবিবেচকের মতো রিভার্স সুইপ করে আউট হয়ে দলকে এবং নিজেকে বিপদে ফেললেন তিনি। রাহুলকে মনে রাখতে হবে রিজার্ভ বেঞ্চে ঋষভ পন্থ শুধু সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।

এদিন রাহুল আউট হওয়ায় দল বিজয় শঙ্করকে মহা গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বরে নামিয়েছিল। কিন্তু তার ৪১ বলে মাত্র ২৯ রান ভরসা দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল না। উল্টোদিকে বিরাট কোহলি যখন দুর্দান্ত ব্যাটিং করছেন, সেইসময় শঙ্করের উচিত ছিল অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করা। কিন্তু অযথা আক্রমণাত্মক হয়ে উইকেট হারালেন তিনি।

সচরাচর বিদ্রুপ সইতে হয় না মহেন্দ্র সিং ধোনিকে। কিন্তু গতকাল ৫২ বলে তার ২৮ রান নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সমালোচকরা।

এছাড়া একই কথা প্রযোজ্য কেদার যাদবের ক্ষেত্রে। ৬৮ বলে ৫২ রান করে ক্যাচ আউট হন তিনি। তবে অর্ধশতক করলেও, শুরু থেকেই খুব একটা সপ্রতিভ দেখায়নি তাকে।

বিশ্বকাপে দারুণ ছন্দে রয়েছেন হার্দিক। কিন্তু অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক না হওয়াই যে ভাল, তা বুঝতে হবে হার্দিককে। বল হাতে ১০ ওভারে ৫১ রান দিয়েছেন তিনি। উইকেট নিয়েছেন দুটি। কিন্তু ব্যাট হাতে দলকে কোনওরকম সাহায্যই করতে পারেননি। ৯ বলে ৭ রান করে আউট হয়ে যান।

এদিকে, ব্যাট হাতে দলকে ভরসা জোগাতে ব্যর্থ হয়েছেন বিজয় শঙ্কর। কেদার যাদব যদিও বা হাফ সেঞ্চুরি করেন, কিন্তু দু’জনের কাউকেই বল করতে দেওয়া হয়নি। আর সেখানেই সবচেয়ে প্রশ্নটা উঠে আসছে। ওই দু’জনকে যখন বল করতেই দেওয়া হল না, তাহলে ঋষভ পন্থরে মতো তরুণ প্রতিভাকে খেলার সুযোগ দেওয়া হল না কেন? পন্থের প্রতি এই উপেক্ষা নীতি চলতে থাকলে ক্যাপ্টেন কোহলির নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।

আর শুধু ইকনমিক্যাল বোলিং যে যথেষ্ট নয়, এ কথা বুঝতে হবে কুলদীপ যাদব এবং যুজবেন্দ্র চহালকে। গতকাল সময়মতো উইকেট নেওয়ার প্রয়োজন ছিল। সে ক্ষেত্রে ভারতের এই দুই স্পিনারই ব্যর্থ হয়েছেন। চাহাল তাও দুটি উইকেট পেয়েছেন, কিন্তু নিরাশ করেছেন কুলদীপ।