১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি থামছেই না
প্রকাশিত : ০১:০১ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৬ রবিবার | আপডেট: ০১:০১ পিএম, ৬ নভেম্বর ২০১৬ রবিবার
দেশের বিভিন্নস্থানে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ কার্যক্রমে অনিয়ম ও দুর্নীতি থামছেই না। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা ভুয়া কার্ড তৈরি করে লুটপাট চালাচ্ছেন। উপজেলা খাদ্য ও গুদাম কর্মকতাকে ঘুষ না দিলে মিলছেনা চাল বরাদ্দের আদেশ-এমন অভিযোগ ডিলারদের। এদিকে অনিয়মের অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতারও করা হয়েছে বেশ কয়েকজনকে।
সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর ২৯০৭ নম্বর তালিকাভুক্ত কার্ডধারী ময়মনসিংহ সদরের খাগডহর ইউনিয়নের কিসমত গ্রামের আফরোজা। তার নামে কার্ড বরাদ্দ থাকলেও চাল তো দুরের কথা, কার্ড-ই হাতে পাননি।
আফরোজার মতো একই অবস্থা ইউনিয়নের চরগোবিন্দ, বাহাদুরপুর, কল্যাণপুর, তারাগাইয়ের কয়েকশ’ হতদরিদ্র মানুষের। মৃত ব্যক্তির নামসহ অর্থের বিনিময়ে হতদরিদ্রদের চাল হাতিয়ে নিচ্ছে বিত্তবানরা। এ কর্মসূচী থেকে বঞ্চিত হচ্ছে জয়পুরহাট আর নীলফামারীর হত দরিদ্র পরিবারগুলোও।
রাজবাড়ি ও নাটোরে কার্ড থাকা সত্ত্বেও সময়মতো চাল কিনতে পারছেন না ক্রেতারা। যথাসময়ে চাল দিতে না পারার কারণ হিসেবে খাদ্য কর্মকর্তা ও গুদাম কর্মকর্তাদের দুর্নীতিকেই দায়ী করছেন ডিলাররা।
যদিও ডিলারদের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খাদ্য বিভাগের দুই কর্মকর্তা।
এদিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদি ইউনিয়নে চাল বিতরন না করায় ডিলারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন কার্র্ডধারীরা।
যদিও সরকারের ইতিবাচক এ কর্মসূচীকে সফল করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বেশকিছু পদক্ষেপ।
প্রকল্পের আওতায় সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবারকে প্রতিকেজি চাল ১০টাকা দরে দেয়ার কর্মসূচী নিয়েছে সরকার।