ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

সেমির আশা জিইয়ে রাখল পাকিস্তান

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০২ এএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ১২:২০ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার

দক্ষিণ আফ্রিকার শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। ৩০৯ রানের টার্গেটে নেমে দ্বিতীয় উইকেট জুটির দৃঢ়তায় বেশ আশা জাগিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এই জুটি ভাঙার পর চাপে পড়ে যায় প্রোটিয়ারা। তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ৪৯ রানের ব্যবধানে হেরে যায়। এর মাধ্যমে পাকিস্তান সেমিতে যাওয়ার আশা জিইয়ে রাখলো।

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানোর মাধ্যমে জয়ের ধারায় ফিরলো পাকিস্তান। তিনি ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল সরফরাজরা। ছয় ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে তারা। সাত ম্যাচে মাত্র তিন পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা নেমে গেল নবম স্থানে।

নিজেদের পরের তিন ম্যাচে নিউজিল্যান্ড, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় এবং দুর্দান্ত খেলে যাওয়া ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের কোনো একটি দল যদি টানা হেরে যায়, তাহলে সেমির ভাগ্য খুলেও যেতে পারে পাকিস্তানের। এর ব্যতিক্রম হলে শেষ চারের আগেই বাড়ি ফিরতে হবে সরফরাজদের।

রোববার ইংল্যান্ডের লর্ডসে সেমিফাইনালে টিকে থাকার লড়াইয়ের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭ উইকেটে ৩০৮ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। দলের হয়ে ৫৯ বলে ৮৯ রান করেন হারিস সোহেল। ৬৯ রান করেন বাবর আজম। ৪৪ রান করে করেন ফখর জামান ও ইমাম-উল-হক।

দক্ষিণ আফ্রিকা শাদাব খান ও মোহাম্মদ আমিরের তোপের মুখে পড়ে একের পর এক উইকেট হারিয়ে ২৫৯/৯ রানেই ইনিংস গুটায়। এছাড়া ৪৭ রান করেন কুইন্টন ডি কক।

পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্তিত্বের লড়াইয়ের ম্যাচে ৩০৯ রানের পাহাড় ডিঙাতে নেমে মাত্র ৪ রানে হাশিম আমলার উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দলকে খেলায় ফেরান কুইন্টন ডি কক ও ফাফ ডু প্লেসিস। দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৮৭ রানের জুটি গড়েন।

লেগ স্পিনার শাদাব খানের ঘুর্ণিতে কাবু হয়ে এই শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙে। ইমাম-উল-হকের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন দক্ষিণ আফ্রিকান এ ওপেনার। তার আগে ৬০ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৭ রান করেন ডি কক।

এরপর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা মার্ক ওরামকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান শাদাব খান। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১০৩ রানে ৩ উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের শুরু থেকে দায়িত্বশীল ব্যাটিং করে যাওয়া ফাফ ডু প্লেসিসকে ক্যাচ তুলতে বাধ্য করেন মোহাম্মদ আমির। তার আগে ৭৯ বলে ৫টি চারের সাহায্যে ৬৩ রান করেন দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক।

পঞ্চম উইকেটে দলের হাল ধরেন ভেন দার ডুসেন ও ডেভিড মিলার। এই জুটিতে তারা ৫৩ রান যোগ করেন। এরপর মাত্র ২ রানের ব্যবধানে আউট হন ডুসেন ও মিলার। শাদাব খানের তৃতীয় শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন ডুসেন। ৪৭ বলে ৩৬ রান করেন তিনি। ৩৭ বলে ৩১ রান করে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মিলার কিলার। ইনিংসের শেষ দিকে ওয়াহাব রিয়াজের গতির মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পতনের কারণে পরাজয় এড়াতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা।

এসি