ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

স্টেম সেল থেরাপিতে সুস্থ হতে পারে কিডনি ও লিভার রোগী!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৮ এএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার

কিডনি ও লিভার রোগীরা স্টেম সেল থেরাপির মাধ্যমে সুস্থ হতে পারে বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। তাদের দাবি, স্টেম সেল পদ্ধতিতে চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি ও লিভার রোগী সুস্থ হবে।

রোববার রাজধানীর আফতাবনগরে অবস্থিত বাংলাদেশ লেজার অ্যান্ড সেল সার্জারি ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হসপিটালে (বিএলসিএস হাসপাতাল) এ দেশে স্টেম সেল পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে সেমিনারে এসব দাবি করা হয়।

‘‘স্টেম সেল : কিডনি, লিভার ও অটিজম চিকিৎসায় এর প্রয়োগ’’ শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দক্ষিণ কোরিয়ার স্টেম সেল বিশেষজ্ঞ ফ্রাম্ক হু জিন না।

তাদের দাবি, মানবদেহের গুরুত্বর্পূণ এ দু’টি অঙ্গের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যায় স্টেম সেল চিকিৎসার কার্যকারিতা ইতিমধ্যে প্রমাণিত হচ্ছে। দুরারোগ্য বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার পরিবর্তে স্টেম সেল চিকিৎসায় সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সেলিমুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় কিডনি রোগ ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. ফিরোজ খান।

মূল প্রবন্ধে দক্ষিণ কোরিয়ার স্টেম সেল বিশেষজ্ঞ ফ্রাম্ক হু জিন না বলেন, অকেজো কিডনি ও লিভারের কাযর্কারিতা ফেরাতে চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাবর্ধুনিক আবিষ্কার স্টেম সেল চিকিৎসা পদ্ধতি। স্টেম সেল প্রয়োগ শরীরের অকেজো রক্তনালী সচল করা, ক্ষত সারানো, ক্ষতিগ্রস্থ স্নায়ু পুনঃজীবিত করা, স্বাস্থ্যকর নাইট্রিক অক্সাইড রিসেপটর ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখে। দুরারোগ্য বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার পাশাপাশি স্টেম সেল চিকিৎসায় এখন পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে।

সেমিনারে কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট অত্যন্ত ব্যয়বহুল। তার উপর প্রতিস্থাপনযোগ্য সুস্থ কিডনি সংগ্রহ করাও দুরূহ। ডয়ালাইসিস নির্ভরতা কমিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তুলতে স্টেম সেল পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।

হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. ইয়াকুব আলী বলেন, রোগীদের কষ্টের কথা ভেবেই আমরা আধুনিক এই পদ্ধতি বাংলাদেশে প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এছাড়াও সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন- গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. প্রজেশ কুমার রায় ও অধ্যাপক ডা. এ এস এম রায়হান, কিডনি রোগ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ শহিদুল ইসলাম সেলিম, আমর্ড ফোর্সেস মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ মোখলেসুর রহমান, বিআরবি হাসপাতালের কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ হামিদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের কিডনিরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আজিমুল ইসলাম, বিএলসিএস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী, চিফ কনসালটেন্ট ডা. জাহাঙ্গীর মোঃ সারোয়ার।