ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

শেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বাণিজ্যিক চা চাষ (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৫৪ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৩:৫২ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার

শেরপুরের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে বাড়ছে চা চাষ। এই অঞ্চলের মাটি চা চাষের উপযোগী হওয়ায় বিকল্প ফসল হিসেবে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। আর এ’বিষয়ে নাানা ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।

চা চাষে নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন শেরপুরের সীমান্ত এলাকার অধিবাসীরা। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রতিনিধিরা শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নকলা উপজেলার মাটি পরীক্ষা করে চা চাষের উপযোগী বলে ঘোষণা দেন। কিন্তু উদ্যোক্তা, জমি এবং অর্থায়নের অভাবে সে সময় চা চাষ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

সম্প্রতি গারো পাহাড় অধ্যুষিত এসব এলাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চা চাষের জন্য কাজ শুরু করে। ২০১৭ সালে এপ্রিল মাসে ২৬ জন স্থানীয় কৃষককে বিনামূল্যে চায়ের চারা ও প্রশিক্ষণ দেয় কোম্পানীটি। বর্তমানে সীমান্তবর্তী তিন উপজেলার প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক চা চাষ করে দীর্ঘ মেয়াদী লাভের মুখ দেখছেন।

সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে চা চাষ থেকে আর্থিক লাভবান হওয়া সম্ভব বলে মনে করছে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট।

বন্য হাতির উপদ্রব থেকে রক্ষা ও স্বল্প মেয়াদী ফসলের বিকল্প হিসেবে চা চাষে স্থানীয় কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব, বললেন এ উদ্যোক্তা।

এদিকে আগ্রহী উদ্যোক্তা ও কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।