রোজ বোলের রেকর্ড কী বলে?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩০ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯ সোমবার
আজ সোমবার নিজেদের সপ্তম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান। ইংল্যান্ডের সৈকত শহর সাউদাম্পটনের রোজ বোল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায়।
তার আগে আসুন জেনে নেয়া যাক রোজ বোল সম্পর্কে কিছু তথ্য-
দ্য রোজ বোল ইংল্যান্ডের হ্যাম্পশায়ার কাউন্টির ওয়েস্ট এন্ডে অবস্থিত একটি ক্রিকেট মাঠ। ব্যবসায়িক প্রচারস্বত্ত্বের কারণে স্টেডিয়ামটি এজিয়াস বোল নামে পরিচিত।
হ্যাম্পশায়ার, ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান অনুশীলনী মাঠ এটি। দলটি ২০০১ সাল থেকে এ মাঠ খেলে আসছে।
১৮৮৫ সালের সাউদাম্পটনের কাউন্টি গ্রাউন্ড থেকে স্থানান্তরিত হয়ে হ্যাম্পশায়ার দল এ মাঠ নির্মাণ করে। ৯-১১ মে, ২০০১ তারিখে ওরচেস্টারশায়ারের বিপক্ষে এখানে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করে হ্যাম্পশায়ার দল। এতে স্বাগতিক দলটি ১২৪ রানের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল।
এরপর থেকেই একদিনের আন্তর্জাতিকসহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা নিয়মিতভাবে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তন্মধ্যে ২০০৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি প্রতিযোগিতার বেশ কয়েকটি খেলা আয়োজনের দায়িত্ব পায় রোজ বোল কর্তৃপক্ষ। দুইটি টুয়েন্টি-২০ আন্তর্জাতিক খেলাও অনুষ্ঠিত হয়েছে এখানে। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড বনাম শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
রোজ বোলে এর আগে একমাত্র ওয়ানডেটি বাংলাদেশ খেলেছিল ২০০৪ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ওই ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি টাইগাররা। ক্যারিবীয়দের ২৬৯ রান তাড়া করতে নেমে গুটিয়ে যায় ১৩১ রানেই। উইন্ডিজ পেসার মারভিন ডিলন একাই ধসিয়ে দেন বাংলাদেশকে। মাত্র ২৯ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি।
অন্যদিকে রোজ বোলে আফগানিস্তানের অভিষেক হয়েছে শনিবার। যে ম্যাচে এশিয়ার পরাশক্তি ভারতের বিপক্ষে লড়াই করেই ১১ রানে হেরেছে আফগানরা।
রোজ বোলে প্রথম ওডিআই হয়েছিল মাত্র ১৬ বছর আগে ২০০৩ সালে। এই মাঠে ইংল্যান্ডের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি হয়েছিল ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। আর টেস্ট ম্যাচের বয়স আরো কম। মাত্র ২০১১ সাল থেকে এখানে টেস্ট খেলা হচ্ছে।
মাঠের কিছু দুর্নামও রয়েছে। উইকেট কিছুটা শ্লথ গতির। ব্যাটসম্যানরা তেমন একটা সুবিধা পান না। এবারের বিশ্বকাপে মোট ৫টি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে এই মাঠে। বাংলাদেশ আফগানিস্তান ম্যাচটি এই ভেন্যুর শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ।
এই মাঠের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ নিউজিল্যান্ডের। ২০১৩ সালে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন উইকেটে ৩৫৯ রান করেছিলো কিউইরা। যে ম্যাচে মার্টিন গাপ্টিল খেলেন অপরাজিত ১৮৯ রানের ইনিংস। যা এখন পর্যন্ত এই মাঠের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
অন্যদিকে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬৫ (২৪ ওভার)। ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওই রান করে তারা। এছাড়া ইউন্ডিজ কিংবদন্তি মারভিন ডিলনের। বাংলাদেশের বিপক্ষে তার ২৯ রানে ৪৫ উইকেটের ফিগারটি এখনও রোজ বোলের এক ইনিংসে সেরা বোলিং।
আজ সাউদাম্পটনের আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি হবে না বলেই জানিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া দফতর। ফলে দুই প্রতিবেশীর লড়াই দেখতে আসা ২৫ হাজার দর্শকদের বৃষ্টিতে ভেজার আশঙ্কা নেই।