ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

স্বর্ণকর মেলার শেষ দিনে উপচে পড়া ভিড়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:১৩ পিএম, ২৫ জুন ২০১৯ মঙ্গলবার

তিন দিনব্যাপী স্বর্ণকর মেলা আজ মঙ্গলবার শেষ হয়েছে। সমাপনী দিনে মেলায় শতশত স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাদের অপ্রদর্শিত স্বর্ণ মেলায় প্রদর্শন করেন। বৈধ করেন কয়েক হাজার ভরি স্বর্ণ।

মেলা ঘুরে দেখা যায়, রেজিস্ট্রেশন করতে দীর্ঘলাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। কোন রকম হয়রানি ছাড়া নির্বিঘ্নে স্বর্ণ বৈধ করার টাকা জমা দিচ্ছে।
মো. মোরশেদ নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান, স্টোকে থাকা স্বর্ণ নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় ছিলাম।এখন নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারবো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক স্বর্ণ ব্যবসায়ী জানান, এখনো অসংখ্য স্বর্ণ ব্যবসায়ী আছে, যারা এখনো জমা দেননি। নির্দিষ্ট সময়ে তারা বৈধ না করলে সরকারের উচিৎ তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া।

এফবিসিসিআইয়`র সহসভাপতি ও বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক একুশে টিভি অনলাইনকে বলেন, সরকার আমাদের বড় একটা সুযোগ দিয়েছে। আমাদের উচিৎ,যার যা স্টোকে আছে তা নিজেদের স্বার্থেই বৈধ করা।

তিনি বলেন, আগামী ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কাজ করবে। পাশাপাশি এনবিআরের ওয়ার্কিং কমিটিতেও কাজ করবো আমরা। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মধ্যে সব স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে নিজের অপ্রদর্শিত স্বর্ণ নিজ নিজ বিভাগীয় ও জেলা শহরের রাজস্ব অফিসে বৈধ করুন।

সময় বাড়ানোর দাবি নাকচ করে দিয়ে আগরওয়ালা বলেন, যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করবে না, তাদের ব্যবসা করার সুযোগ নেই।তাদের স্বর্ণ অবৈধ বলে অভিহিত হবে- যোগ করেন তিনি।
মেলায় আজ ২০০ কোটি টাকার রাজস্ব হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রথমদিন আমরা ২৪ কোটি টাকার রাজস্ব পেয়েছি। গতকাল লোক সংখ্যা কম হলেও করের পরিমাণ ছিল বেশি। প্রায় ৫১ কোটি টাকার স্বর্ণ গতকাল বৈধ হয়েছে। আজ ২`শ কোটি হবে বলে আমরা আশা রাখছি। সব মিলে গোটা বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৪`শ কোটি টাকার রাজস্ব আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এর আগে গত রোববার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল মেলার উদ্বোধন করেন। প্রথম দিনই ২৪ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয়।

প্রসঙ্গত, নীতিমালা না থাকায় দেশে কি পরিমাণ স্বর্ণ আছে তা জানা নেই সরকারের। ফলে চোরাচালান বন্ধ সম্ভব হতো না।পাশাপাশি অবৈধ স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে ছিলেন। এমতাবস্থায় সরকার নীতিমালা প্রণয়ন করে।( তারিখটা মনে নেই, জেনে নিতে হবে) তারই আলোকে এ মেলার আয়োজন করা হয়।

আই/