ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে শাপলা ফোরামের নির্বাচন ২৯ জুন

ইবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৮:৫৭ পিএম, ২৬ জুন ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ১২:০৯ এএম, ২৭ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরামের ২০১৯ সালের কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচন ২৯ জুন অনুষ্ঠিত হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মমতাজ ভবনের শিক্ষক ক্লাবে এ দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত এই ভোট গ্রহণ চলবে। এ বছর শাপলা ফোরাম নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৩ জন শিক্ষক তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়।

জানা যায়, এ বছর কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন ২০১৯ এর আহ্বায়ক ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আব্দুল মুঈদ। তথ্য ও যোগাযোগ প্রকৌশল (আইসিই) বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার জোদ্দার ও আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহমান টিটু নির্বঅচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন।

গত ২২ ও ২৩ জুন নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী শিক্ষকদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা পর ২৪ জুন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। নির্বাচনে ২৩৩ জন শিক্ষকদের প্রত্যক্ষ ভোটে ১৫ জন প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। পরবর্তীতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মধ্যে থেকে আলোচনা সাপেক্ষে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষসহ ১৫টি পদ বন্টন করে কমিটি ঘোষণা করা হবে।

শাপলা ফোরাম কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন-২০১৯ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ বলেন, ‘যাচাই বাছাই শেষে আমরা মঙ্গলবার ২৯ জন চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছি। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ জুন সকালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

এ দিকে ২৯ জন প্রার্থীর চূড়ান্ত তালিকায় প্রথম ১৪ জন উপাচার্যপন্থী এবং পরের ১৫ জন উপ-উপাচার্যপন্থী হয়ে নির্বাচনে প্রর্থীতা চূড়ান্ত হয়েছে বলে শিক্ষকরা জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে উভয় পক্ষের শিক্ষকেরা পৃথকভাবে এবং প্যানেলে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ বছরের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে শাপলা ফোরামের সাবেক ১৫ সদস্যের পূর্ণ প্যানেলে জয়ী হয়। সমিতিতে অধিকাংশ পদ উপ-উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের দখলে থাকায় উপাচার্যপন্থীদের অবস্থান খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই দাবি বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের। তাই শাপলা ফোরামের নির্বাচনে তাদের অবস্থান তৈরী করতে রয়েছে বিশেষ নজর। এদিকে উপ-উপাচার্যপন্থী শিক্ষকরা তাদের অবস্থান ধরে রাখতে নির্বাচনী মাঠে জয় পেতে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।

এমএস/কেআই