ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

উইন্ডিজকে ২৬৯ লক্ষ্য দিলো ভারত

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ২৭ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৮:১৭ পিএম, ২৭ জুন ২০১৯ বৃহস্পতিবার

বিরাট কোহলি ও এমএস ধোনির অনবদ্য ফিফটিতে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৬৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। ফিফটি করার পথে এদিন শচীন-লারার রেকর্ড ভেঙে সবচেয়ে কম ম্যাচে ২০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন ভারতীয় ক্যাপ্টেন। গড়েন অনন্য এক রেকর্ড।

এর আগে টসে জিতে ক্যারিবিয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারায় ভারত। এক পর্যায়ে ১৪০ রানেই হারিয়ে ফেলে একে একে টপ অর্ডারের চার ব্যাটসম্যানকে। চাপে পড়ে যায় ভারত। এই চাপের মধ্যে থেকেই আশার আলো জ্বালান দলীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। খেলেন ৮২ বলে ৭২ রানের এক অনবদ্য ইনিংস, যাতে চারের মার ছিলো আটটি।

এরপর দলীয় ১৮০ রানে কোহলির বিদায়ের পর হার্দিক পান্ডিয়াকে নিয়ে জুটি বাঁধেন ধোনি। ৬০ বলে ৭০ রানের  জুটি গড়ে আউট হন পান্ডিয়া। দলের স্কোর তখন ৪৯তম ওভারে ঠিক ২৫০। আউট হওয়ার আগে খেলেন ৩৮ বলে পাঁচ বাউন্ডারিতে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস। ক্যারিবিয়দের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য বাকি কাজটুকু সারেন মারকুটে ধোনি। প্রথম দিকে ধীরে খেলা ধোনি অপরাজিত থাকেন ৬১ বলে তিন চার ও দুটি ছক্কায় ৫৬ রানে। যার ফলে সাত উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত ২৬৮ রানে পৌঁছে ভারতের স্কোর।

কোহলি, পান্ডিয়া, ধোনি ছাড়া ভারতের হয়ে রান পেয়েছেন আরও একজন। তিনি হলেন ধাওয়ানের অনুপস্থিতিতে ওপেনার হিসেবে খেলা লোকেশ রাহুল। মাত্র ২ রানের জন্য ফিফটি মিস করেন এ ওপেনার। হোল্ডারের বলে শাই হোপের গ্লাভসে ধরা পড়ার আগে ৬৪ বল খেলে ছয়টি চারে ৪৮ রান করেন তিনি।

আর ক্যারিবিয় বোলারদের কথা বলতে গেলে ডানহাতি পেসার কেমার রোচের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। শুরু থেকে ভারতের ইনিংসে যে ধস নামে তাতে তারই অবদান ছিলো সবচেয়ে বেশি এবং কার্যকর। তার পেস এবং সুইংয়ে একে এক ধরাশায়ী হন রোহিত শর্মা (১৮), বিজয় শংকর (১৪) এবং কেদার যাদব (৭)। ফলে জুটি বড় করতে না পেরে বড় স্কোর গড়তে পারেনি ভারত।

রোচ ছাড়াও দলীয় অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও শেল্ডন কোট্রেলও ভারতীয় ইনিংসে ত্রাস সৃষ্টি করেন তাদের কার্যকর পেস এবং বাউন্স দিয়ে। এর মধ্যে হোল্ডারের শিকার হন লোকেশ রাহুল এবং ভারতীয় ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। ম্যাচে দুই অধিনায়কের লড়াই ছিলো সত্যিই দেখা মতো। দারুণ রোমাঞ্চকর। তাতে অবশ্য শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হন হোল্ডারই। ক্যারিবিয় কাপ্তানের বাউন্স ট্রিক্সে পরাভূত হন কোহলি। মূলত ওই আউটই ছিলো উইন্ডিজের অনেক বড় সাফল্য ভারতকে আটকে রাখার ক্ষেত্রে।

এছাড়া শেষ দিকে এক ওভারেই দুটি উইকেট (পান্ডিয়া ও শামি) নিয়ে কোট্রেলের স্যালুটিয় উদযাপন ছিলো উপভোগ করার মতো।

আরকে//