ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

জাবির ২৫৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা

জাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১১:২১ পিএম, ২৮ জুন ২০১৯ শুক্রবার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ২৫৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন রেজিস্ট্রার ভবনের সিনেট হলে অনুষ্ঠিত ৩৮তম সিনেট অধিবেশনে এ বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ শেখ মো. মনজুরুল হক। 

বাজেটের আয়ের উৎস হিসেবে দেখানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুদান ও নিজস্ব আয়। এর মধ্যে ইউজিসি ২৩৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। নিজস্ব আয় বাবদ ধরা হয়েছে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সে হিসেবে ঘাটতি বাজেট দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

তবে এত বড় বাজেটের একটা বড় অংশই রাখা হয়েছে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা ও পেনশনের জন্য। আর বাকি আনুষঙ্গিক বিষয় শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও শিক্ষাখাতের উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ৫ কোটি ২০ লক্ষ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারনী ফোরাম সিনেটের বার্ষিক সভায় এ বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে গবেষণা খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তিন কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১.১৫ শতাংশ।

এবার,শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৩২.৮৭%। অবসরকালীন সুবিধা বাবদ বরাদ্দ ৪০ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৫.৩৯%। প্রশাসনিক ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১১.৪২%। বিবিধ ব্যয় বাবদ বরাদ্দ ১৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। যা মোট বাজেটের ৭.৫৭%।

এদিকে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট খাতগুলোর মধ্যে ছাত্রবৃত্তি ও ফেলোশীপে বরাদ্দ ০.০৬% কমিয়ে ২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার খরচ বাবদ বরাদ্দ ০.২৬% কমিয়ে দাড়িয়েছে ১৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বাজেট বিশ্লেষকরা বলছেন, উপাচার্যের গাড়ির জ্বালানী বাবদ ব্যয় এক লাখ টাকা বৃদ্ধি করে ৬ লাখ টাকা করলেও  শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী তেমন বরাদ্দ বাড়ানো হয়নি। বাজেট বাড়েনি শিক্ষির্থীদের চিকিৎসা খাতেও। মেডিকেল সেন্টার (ডাক্তার ও কর্মচারিদের বেতন সহ ওষুধ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক) বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ কোটি ২৬ লাখ। টাকা যা গত বছর ছিল ৩ কোটি ১২ লাখ।

এছাড়া বিভিন্ন হলে বরাদ্দের মধ্যেও রয়েছে অসামঞ্জস্যতা।আবার গবেষণা খাতকে একেবারেই উপেক্ষিত রাখা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান গবেষণাগার ‘ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র’ জন্য তেমন বরাদ্দ রাখা হয়নি।

অধিবেশনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নূরুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শেখ মো. মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, সিন্ডিকেট সদস্য ও রেজিস্ট্রার গ্রাজুয়েট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এনএম/কেআই