টানা বৃষ্টির কারণে সুনামগঞ্জে কিছু এলাকা প্লাবিত (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:০৬ এএম, ২৯ জুন ২০১৯ শনিবার
টানা বৃষ্টি আর উজানের ঢলে সুনামগঞ্জে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। শহরের জামতলা, আরপিন নগর, পশ্চিম নুতনপাড়া, শান্তিবাগসহ বেশ কিছু আবাসিক এলাকায় দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। নেত্রোকেনার সোমেশ্বরী ও মহাদেব নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দূর্গাপুর ও কলমাকান্দায় প্লাবিত হয়েছে অন্তত ২০টি গ্রাম। এদিকে মৌলভীবাজারে ব্রীজের গার্ডার রক্ষায় ব্লক স্থাপন করলেও নদীর স্রোতে তা ধসে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।
পাহাড়ী ঢলে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৭৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। এরইমধ্যে প্লাবিত হয়েছে সুনামগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা।
পানি উন্নয়ন বলছে, প্রতি ঘন্টায় সুরমা নদীর পানি গড়ে ৮ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। হাওর এলাকার নদ নদীগুলোতেও পানি বাড়ছে অস্বভাবিক ভাবে। তাহিরপুরে সীমান্ত এলাকার হাটবাজার গুলো পাহাড়ি ঢলের প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পরেছে বাসিন্দারা।
বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশংকায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে-জানিয়ে প্রশাসন ।
নেত্রোকোনায় পাহাড়ি ঢলে কলমাকান্দা ও দূর্গাপুর উপজেলার ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরের মাছ ও বীজতলা। । পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। পানির তোড়ে কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুরের শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরিতে কালভার্টের দুপাশের মাটি সরে যাওয়ায় হুমকির মুখে রয়েছে সড়কটি।
এদিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলই নদীর উপরর্ রেলব্রীজের দুই পাশ থেকে বালু উত্তোলনের ফলে দুটি গার্ডারের নিচের অধিকাংশ অংশে মাটি সরে গেছে। পানির স্রোতে ধ্বসে পড়ছে নদীর পাড়ে মুল গার্ডরের ব্লক । ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন।
গার্ডার রক্ষায় ব্লক স্থাপনে অনিয়মেরও অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয় প্রকৌশলী জানান, প্রশাসনের কাছে বার বার জানানোর ফলেও দমানো যায়নি প্রভাবশালী বালু ব্যবসায়ীদের।
আরআইবি//