ওকসের আঘাতে ডাক মারলেন রাহুল
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩১ পিএম, ৩০ জুন ২০১৯ রবিবার | আপডেট: ০৮:৩২ পিএম, ৩০ জুন ২০১৯ রবিবার
ইংলিশদের দেয়া ৩৩৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই রাহুলকে হারালো ভারত। বিশাল এই লক্ষ্য তাড়ায় ওপেনিংয়ে যেখানে বড় জুটির দরকার, ঠিক তখনই ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকসের তোপে পড়ে ডাক মেরে ফিরলেন সাজঘরে।
অবশ্য এতক্ষণে দুই উইকেট হারাতে পারত ভারত। স্লিপে রুট যদি রোহিতের ক্যাচটি রাখতে পারতেন। দ্বিতীয় ওভারেই আর্চারের বলে সহজ ওই ক্যাচ মিস করেন জো রুট।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৮ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২২ রান। ক্রিজে আছেন রোহিত শর্মা ১১ রানে এবং ক্যাপ্টেন কোহলি ১১ রানে।
এর আগে ওপেনার জনি বেয়ারস্টোর অনবদ্য সেঞ্চুরি এবং রয় ও স্টোকসের বিস্ফোরক ফিফটিতে অপরাজেয় ভারতের বিপক্ষে বিশাল রানের স্কোর দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। সেমি নিশ্চিত করতে কোহলিদের টপকাটে হবে ৩৩৭ রানের এই পাহাড়।
এজবাস্টনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে দুরন্ত সূচনা করে ইংলিশরা। দুই ওপেনার জেসন রয় ও বেয়ারস্টোর হাত থেকে রেহাই পায়নি কোন বোলারই। একে একে পাঁচ বোলার ব্যবহার করেও কোন উইকেটেরই দেখা পাচ্ছিলেন না ভারত ক্যাপ্টেন বিরাট কোহলি। আর তাতে ১৬ ওভারেই শতাধিক রানের জুটি গড়েন দুই ওপেনার।
ব্যক্তিগত ফিফটি করেই সাজঘরে ফেরেন জেসন রয়। অথচ একাদশ ওভারেই আউট হতে পারতেন মারকুটে এই ওপেনার। হার্দিকের করা ওই ওভারের চতুর্থ বলেই কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন করে ধোনি-কোহলিরা। তবে সে আবেদনে সাড়া না দিয়ে লেগ স্ট্যাম্পের একটু বাইরে দিয়ে যাওয়ায় ওয়াইড দেন আম্পায়ার আলীম দার। তবে রিপ্লাই ও আলট্রা এজে দেখা যায়, রয়ের গ্লাভসে টাচ করে গেছে বলটি।
ফলে রিভিউ না নিয়ে বোকামিই করেছেন ভারত ক্যাপ্টেন। রয়ের রান তখন ২৫ বলে ২১ এবং দলের রান তখন ৫১। পরের দুই বলে ছক্কা-চার মেরে ২৭ বলে ৩১-এ পৌঁছান তিনি। যা শেষ পর্যন্ত থামে ফিফটিতে। ইনিংসের ২৩তম ওভারে কুলদীপের বলে আউট হওয়ার আগে সাত বাউন্ডারি ও দুই ওভার বাউন্ডারিতে ৫৬ বলে ৬৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন জেসন রয়। বেয়ারস্টোর সঙ্গে গড়েন ১৬০ রানের অনবদ্য জুটি।
রয় আউট হলেও থেমে থাকেননি আরেক ওপেনার জনি বেয়ারস্টো। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে তবেই ফিরেছেন এই বিস্ফোরক ওপেনার। তুলে নিয়েছেন ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। ৯০ বলে আটটি চার ও ছয়টি চক্কার মারে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান ডানহাতি এই বিস্ফোরক ওপেনার। ততক্ষণে দুইশ ছাড়ায় ইংল্যান্ড।
তবে ৩২তম ওভারে বেয়ারস্টো ও ইংলিশ ক্যাপ্টেন মরগানকে ফিরিয়ে ভারতকে খেলায় ফেরান মোহাম্মদ সামি। সাজঘরে ফেরার আগে ১০৯ বলে দশ বাউন্ডারি ও ছয়টি ওভার বাউন্ডারিতে ১১১ রানের ইনিংস খেলেন জনি বেয়ারস্টো। আর মরাগান আউট হন মাত্র ১ রান করে।
বল হাতে এদিন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করলেও অন্যান্য বোলারদের সাপোর্টের অভাবে স্বাগতিকদের রান বন্যা থামাতে পারেননি তিনি। দশ ওভারে এক মেডেনে ৭০ রান দিয়ে প্রথমবারের মত পাঁচ উইকেট তুলে নিয়েছেন সামি।
এদিন বেয়ারস্টো-রয়ের পাশাপাশি ভারতীয় বোলারদের বেধড়ক পেটান আরেক ইংলিশ বেন স্টোকস। শেষ ওভারে বুমরার শিকার হওয়ার আগে ৫৪ বলে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কায় ৭৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন স্টোকস। মূলত তার ব্যাটেই স্কোর সোয়া তিনশ ছাড়ায় ইংল্যান্ডের। এছাড়া রুট ৪৪ এবং বাটলার ২০ রান করে অবদান রাখেন দলের স্কোরকে সাত উইকেটে ৩৩৭ রানে পৌঁছাতে।
আরকে//