ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

ধোনিদের তুলোধুনো করলেন সৌরভ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩১ পিএম, ১ জুলাই ২০১৯ সোমবার | আপডেট: ০৭:৩২ পিএম, ১ জুলাই ২০১৯ সোমবার

সোমবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মন্থর ব্যাটিং দেখে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কেদার যাদবকে তুলোধুনো করলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী।

ইংলিশদের ৩৩৭ রানের জবাব দিতে নেমে ইনিংসের শেষের দিকে ধোনি ও কেদার বড় শট না খেলে সিঙ্গেলের উপরে জোর দেন। তাদের এমন ব্যাটিং দেখে বিস্ময়ের ঘোর যেন কাটছে না ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের। তাইতো ধোনিদের ছেড়ে কথা বলেননি সৌরভ।

বিশ্বক্রিকেটে ধোনি এখনও অবিসংবাদিত ‘ফিনিশার’ হিসেবে বিখ্যাত। অথচ সেই ধোনিই খেলছেন এমন মন্থর ক্রিকেট। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে এসে ধোনির কাছ থেকে ঝোড়ো ব্যাটিংই আশা করেছিলেন সৌরভ। কিন্তু পূর্ণ হয়নি তার সে আশা। ম্যাচের শেষ পর্যায়ে বড় শট খেলা তো দূরে থাক! ধোনি কেমন যেন গুটিয়ে গেলেন।

এনিয়ে ম্যাচে ধারাভাষ্য দেয়া সৌরভ বলেন, “এরকম মন্থর ব্যাটিংয়ের কোনও ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছি না। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা কেন সিঙ্গেল রান নিচ্ছে, তার উত্তর সত্যিই আমার জানা নেই। বাউন্স এবং লেন্থ হয়তো ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা ঠিকমতো পড়তে পারছে না। তাই বলে ৩৩৭ রান তাড়া করতে নেমে শেষমেশ হাতে পাঁচ উইকেট থেকে যাওয়ার কোনও যুক্তি দেখি না। বার্তাটা খুব পরিষ্কার হওয়া উচিত। কী ভাবে বল মারছ বা কোথায় মারছ, সেটা বড় ব্যাপার নয়। যেভাবেই হোক বাউন্ডারি মারতে হবে। ম্যাচের এই পরিস্থিতিতে এসে সিঙ্গেলস!’’

বিস্মিত সৌরভ ধোনি বা কেদার যাদবের নাম উচ্চারণ করেননি। কিন্তু সৌরভসহ অন্যান্য প্রাক্তনদের নিশানায় যে ধোনি, তা বলাই বাহুল্য। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে মন্থর ব্যাটিং করার জন্য শচীন তো প্রকাশ্যেই সমালোচনা করেছিলেন ধোনির। আর এবার সৌরভও তাঁর প্রাক্তন ওপেনিং পার্টনারের রাস্তা নিলেন।

মহারাজ আরও বলেন, প্রথম ১০ ওভারে ভারত এক উইকেট হারিয়ে ২৮ রান করে। শেষের ১০ ওভারেও দ্রুত গতিতে রান তুলতে পারেনি। শেষের ১০ ওভারে ব্যাট করছিলেন ধোনি। হার্দিক পান্ডিয়া তাও কিছুটা মরিয়া চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু ধোনি ক্রিজে আসার পরে পান্ডিয়ার সে চেষ্টাও নিষ্প্রভ হয়ে যায়।

সৌরভ বলেন, “আশা করি এই ম্যাচের পরে ওরা নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। বিশ্বকাপে এখন দারুণ ফর্মে রয়েছে ভারত। ভারতীয়দের ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে খেলা উচিত ছিল। ভারত যদি ৩০০ রানে অল আউটও হয়ে যেত, তা হলে আমি খুশি হতাম। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ফের পড়তে হতে পারে ভারতকে। প্রথম ও শেষ দশ ওভারে সাফল্যের রাস্তা খুঁজতে হবে।”

এদিকে ভারতীয়দের ব্যাটিং দেখে অবাক ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক নাসের হুসেনও। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই অবাক। ভারতের দরকার ছিল রান। কী করল ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা? বেশ কয়েকজন ভারতীয় সমর্থক মাঠ ছেড়ে চলে গেলেন। ভারত-সমর্থকদের হতাশ হওয়ারই কথা। ওঁরা দেখতে চেয়েছিলেন ধোনি বড় শট খেলবে। বিশ্বের অন্যতম সেরা দুটো দল খেলছে। অথচ সেই তাগিদটাই দেখা গেল না।”

ধারাভাষ্যকার হার্ষা ভোগলে বলছেন, “অত্যন্ত নিরাশাজনক সমাপ্তি। এই পরিস্থিতিতে প্রতি বলে ১ রান করে নিয়ে ম্যাচ জেতাতে পারে না। পান্ডিয়া যতক্ষণ ছিল ততক্ষণ ম্যাচে টানটান উত্তেজনা ছিল। পান্ডিয়া ফিরে যাওয়ার পরেই সব শেষ!’