1. প্রচ্ছদ
2. খেলাধুলা

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় চলতি দ্বাদশ বিশ্বকাপ আসরের ৪০তম ম্যাচে মঙ্গলবার শক্তিশালী ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে এটি হবে উভয় দলের ৮ম ম্যাচ। বিশ্বকাপে এ দু`দল প্রথম মুখোমুখি হয় ২০০৭ আসরে। প্রথম দেখাতেই শক্তিশালী ভারতকে পরাজিত করে বড় বিস্ময়ের জন্ম দেয় বাংলাদেশ।

এ পরাজয়ের কারণে শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছিল ভারতকে। এরপর দুই দল পরস্পরের মুখোমুখি হয় ২০১১ ও ২০১৫ বিশ্বকাপে। এ দুই ম্যাচেই অবশ্য বড় জয় পায় ভারত। আসুন দেখে নেই বিশ্বকাপে দুই দলের গুরুত্বপূর্ণ পরিস্যংখ্যান-

অতীত ফলাফল:
২০০৭- বাংলাদেশ ৫ উইকেট জয়ী, ম্যাচ সেরা- মাশরাফি বিন মর্তুজা।
২০১১- ভারত ৮৭ রানে জয়ী, ম্যাচ সেরা- বিরেন্দর শেবাগ।
২০১৫- ভারত ১০৯ রানে জয়ী, ম্যাচ সেরা- রোহিত শর্মা।

ব্যাটিং পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপ মঞ্চে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ম্যাচে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ভারতের- ৩৭০/৪, ২০১১ বিশ্বকাপে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচে সর্বনিম্ন দলীয় স্কোরও ভারতের- ১৯১ রানে অলআউট, ২০০৭ বিশ্বকাপ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচে কোন খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ রান সংখ্যা- ১৭৭, বিরেন্দার শেবাগ।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচে কোন এক ইনিংসে কোন খেলোয়াড়ের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ১৭৫, ২০১১ আসরে বিরেন্দার শেবাগের।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচে সেঞ্চুরি সংখ্যা ৩টি। সেঞ্চুরি তিনটির মালিক হলেন- বিরেন্দার শেবাগ (১৭৫, ২০১১ আসর), বিরাট কোহলি (১০০, ২০১১ আসর) এবং রোহিত শর্মা (১৩৭, ২০১৫ আসর)।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা ৭টি।

বোলিং পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার ম্যাচে একজন বোলার হিসেবে মুনাফ প্যাটেল সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে কোন বোলারের সেরা বোলিং ফিগার- ৪/৩৮। ২০০৭ আসরে যে রেকর্ড গড়েন বাংলাদেশের মাশরাফি।

উইকেট কিপিং পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড গড়েন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সর্বোচ্চ ৮টি ডিসমিসাল করেন তিনি।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ডিসমিসাল সংখ্যা ৪। ২০১৫ আসরে এক ইনিংসে উইকেটরক্ষক হিসেবে সর্বোচ্চ এ ডিসমিসালের রেকর্ড গড়েন ধোনি।

ফিল্ডিং পারফরমেন্স:
বিশ্বকাপে বাংরাদেশ-ভারত ম্যাচে টাইগার দলের আব্দুর রাজ্জাক, আফতাব আহমেদ এবং টিম ইন্ডিয়ার রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও মোহাম্মদ সামির রয়েছে সর্বোচ্চ দুটি ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড।

আরকে/