নয়ন বন্ড নিহতের ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:২৫ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৪:৫৬ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
বরগুনায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড আজ মঙ্গলবার ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
রিফাতের প্রধান খুনি নয়নের মৃত্যুর খবর সকালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
অধিকাংশই নয়ন নিহতের খবরে স্বস্তি প্রকাশ করেন। শামিমা সিমি নামে এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লেখেন, এভাবে তনু, নুসরাত, হত্যাকারীদের মেরে ফেলা হোক। কারণ রিমান্ডে নিয়ে কারা জড়িত তা বের করতে আমাদের দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যায়। কাজেই বাংলাদেশের জন্য এটাই সুবিচার।
মোহাম্মাদ ওসমান নামের আরেকজন লিখেছেন, ফার্স্ট ক্লাস একটা কাজ করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। তবে বিচার বহির্ভূত হত্যকাণ্ড কখনোই কাম্য নয়। এর মাধ্যমে অনেক তথ্য অপ্রকাশিত থেকে গেল।
তবে অনেকের মাঝে আবার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। আবার অনেকেই নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন এ ঘটনাকে।
শুকুমার দাস নামে একজন লিখেছেন, রিফাত আর নয়ন হত্যার মধ্যে পার্থক্য হলো রিফাত অনেক কষ্টে মারা গেছে, আর নয়ন আরামে মারা গেল।
চঞ্চল ভূঁইয়ান নামে একজন লিখেছেন, নয়নকে মেরে ফেলায় অনেক তথ্য গোপন করা হলো। বিশেষ করে রিফাত ফরাজীকে বাঁচানোর একটা কৌশল এটি। এর ফলে, নয়ন বন্ডকে যারা এতোদিন আশ্রয়-প্রশয় দিয়েছে, তারা অধরাই থেকে গেল।
ওবায়দুল হাসান নামে একজন লিখেছেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার কারণেই আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর হাতে এভাবে একজন খুনিকে মেরে ফেলা হলো। ফলে, এ ঘটনায় তার স্ত্রী মিন্নিকে নিয়ে যে প্রশ্নগুলো উঠেছিল, সেগুলোর কোনো সত্যতা ও সমাধান করা গেল না। ফলে, রিফাত ও তার পরিবার ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হলো।
গত ২৪ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উপস্থিতিতে একদল সন্ত্রাসী রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল হালিম শরীফ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও, ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল মূলহোতা নয়ন বন্ড।
মঙ্গলবার ভোরে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রিফাত হত্যার এই প্রধান আসামি। এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আরেক হোতা রিফাত ফরাজীসহ অনেকে।
আই/