ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৫ ১৪৩১

নয়ন বন্ডের নিহতের খবর শুনে যা বললেন রিফাতের স্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৬ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০২:১১ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

বরগুনায় সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত শাহ নেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে জেলার পুরাকাটার পায়ারা নদীর পাড়ে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় নয়ন বন্ড নিহত হওয়ার ঘটনা শোনার পর রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন।

নিহতের বিষয়ে গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাতকারে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি বলেন, ঠিক এমন একটা খবরের অপেক্ষায় ছিলাম। হৃদয়ে শান্তি এসেছে। মহান আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে, বিচারের জন্য আদালতে দৌড়াতে হলো না। এর পর মিন্নি প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। ওরা ধরা পড়বে কি পড়বে না তা নিয়ে খুব আশংকায় ছিলাম। সুবিচার পাওয়া নিয়ে আতঙ্ক কাজ করছিল মনে। নয়নের নিহতের মধ্য দিয়ে সব শঙ্কা এবং আতঙ্ক দূর হয়েছে। রিফাতের আত্মা শান্তি পেয়েছে।

মূল আসামি নয়ন নিহতের খবরে খুব খুশি হয়েছেন জানিয়ে মিন্নি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরও আবেদন জানান, নয়ন নিহতের ঘটনায় আমি অনেক খুশি হয়েছি। পাশাপাশি এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের আমি শাস্তি চাই। তারাও যেন কঠোর শাস্তি পায় এই প্রার্থনা করি।

মেয়ের মুখে স্বস্তির ছায়া দেখে গণমাধ্যমকে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল বলেন, শুধু মিন্নিই নয়, আমরা পুরো পরিবার খুশি।বাজারে গিয়ে সবার মুখে সন্ত্রাসী নয়নের নিহতের খবর শুনেই দ্রুত বাসায় এসে মিন্নিকে জানাই। আমার বিধ্বস্ত মেয়েটির মুখে আত্মতৃপ্তির ঝলক দেখতে পাই। প্রশান্তির ছায়া নেমে আসে তার চোখে-মুখে।

দিনদুপুরে জামাতাকে কুপিয়ে হত্যা করার সঙ্গে জড়িত বাকিদেরও যেন এমন শাস্তি হয় সেই কামনা করেন তিনি।

এ হত্যাকাণ্ডের আরেক আসামি রিফাত ফরাজীরও যেন নয়ন বন্ডের মতোই অবস্থা হয় সেই কামনা করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দ্রুত বিচার পাইয়ে দিয়েছেন। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। এখন বাকিদের শাস্তি হলেই রিফাতের আত্মা শান্তি পাবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি উপস্থিতিতে একদল সন্ত্রাসী রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুল হালিম শরীফ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এ ঘটনায় দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করতে পারলেও, ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল মূলহোতা নয়ন বন্ড।

মঙ্গলবার ভোরে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন রিফাত হত্যার এই প্রধান আসামি। এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে এই ঘটনার মূল আসামি রিফাত ফরাজী ও তার ছোট ভাই রিশান ফরাজীসহ অনেকে।