ভারতকে ৩১৪ রানে আটকে দিলো টাইগাররা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪৫ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৯:০২ পিএম, ২ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার
ডেথ ওভারে মোস্তাফিজের অসাধারণ বোলিংয়ে ভারতকে ৩১৪ রানে আটকে দিয়েছে টাইগাররা। ফিজ ৫৯ রানের খরচায় তুলে নেন ৫টি উইকেট।
এজবাস্টনে ভারতের বিপক্ষে `ডু-অর-ডাই` ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিং করতে নামে বাংলাদেশ। শুরুর দিকে চেপে ধরলেও পঞ্চম ওভারে রোহিতের তুলে দেয়া ক্যাচ তামিমের হাত ফসকে গেলে ম্যাচের লাগামও যেন ফসকে যায় টাইগারদের হাত থেকে।
পরে টাইগার বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে বড় স্কোরের দিকে এগিয়ে যায় কোহলিরা। কিন্তু তাদের সে ধারণাকে পাল্টে দিতে খুব বেশি সময় নেননি দুই টাইগাররা। বিশেষ করে সৌম্য ও রুবেল। শুরুটা হয় পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকারের হাত ধরেই। রোহিত-রাহুলের জুটিতে প্রথম আঘাতটাই হানেন সৌম্য। পতন ঘটে ১৮০ রানের লম্বা জুটির।
তবে সেঞ্চুরি করেই আউট হন মাত্র আট রানে ক্যাচ তুলে দিয়ে জীবন ফিরে পাওয়া রোহিত শর্মা। ৩০তম ওভারে লিটনের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১০৪ রান। ৯২ বলে পাঁচ ছক্কা ও সাত চারে ওই রান করে আউট হন ওপেনার রোহিত।
এরপর রুবেলের আঘাতে উইকেট হারান আরেক ওপেনার লোকেশ রাহুল। ব্যক্তিগত ৭৭ রান করে রুবেলের বলে মুশফিকের গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি। ফলে ১৯২ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় ভারত।
এরপর এক ওভারে জোড়া আঘাতে কোহলি আর পান্ডিয়াকে ফিরিয়ে টাইগারদের খেলায় ফেরান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। এ দুজনকে ফেরাতে অবশ্য অবদান ছিলো আগের দুই উইকেট নেয়া রুবেল-সৌম্যের। কোহলি রুবেলের হাতে এবং পান্ডিয়া সৌম্যের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলে ২৩৭ রানেই ৪ উইকেট হারায় ভারত।
ওই ওভারে মেডেনসহ জোড়া উইকেট নেয়া মুস্তাফিজ পরে ৪৮তম ও শেষ ওভারে আরও তিন উইকেট তুলে নিয়ে ভারতের বিপক্ষে আরও একবার এবং বিশ্বকাপে প্রথমবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট লাভ করলেন দ্য ফিজ। আর এতেই ডেথ ওভারের দুর্বলতা কাটিয়ে পটাপট উইকেট তুলে নিয়ে রানও চেক দেয় বাংলাদেশ। ফলে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩১৪ রানেই থামতে বাধ্য হয় ভারত।
মুস্তাফিজের ওই আঘাতের মধ্যেই সাকিবের ঘূর্ণিতে পঞ্চম উইকেট হারায় ভারত। ইনিংসের ৪৫তম ও নিজের শেষ ওভারের এসে ঋষভ পন্তকে তুলে নিয়ে একমাত্র উইকেট পান সাকিব।
চলতি বিশ্বকাপের ৪০তম ম্যাচে বাঁচা মরার লড়াইয়ে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। এজবাস্টনের এ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয় ভারত। এ ম্যাচে জিতলে সেমির স্বপ্ন টিকে থাকবে টাইগারদের। আর হারলেই বিদায়। তবে জিতলেও অন্যদের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে মাশরাফিদের।