ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মাশরাফির সমালোচনায় ভারতীয় মিডিয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:৩৯ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার | আপডেট: ০৩:১০ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার

ভারতের বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে টাইগারদের। বাঁচা-মরার ম্যাচটিতে হারের পিছনের কারণগুলো বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বার বার উঠে আসছে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নাম। ব্যাট-বল সবেতেই মাশরাফির ব্যর্থতা নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজার।

মঙ্গলবার বার্মিংহামের এজবাস্টনে টস জিতে প্রথমেই অনেকটা এগিয়ে যায় ভারত। কারণ প্রথম ওভারেই বল করতে এসে ভারতকে ১০ রান দেন মাশরাফি। ডিপ স্কোয়ার লেগে রোহিতের সপাটে করা পুল বুঝিয়ে দেয় মাশরাফির পক্ষে রোহিতকে আটকানো মুশকিল। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি নিজেকে সরিয়ে সইফুদ্দিনকে নিয়ে আসেন।

কিন্তু সাইফুদ্দিনও চার ওভারে ২৫ রান দিলে আবার বল করতে ফিরে আসেন মাশরাফি। এসেই আবার দিয়ে দেন ১০ রান। তার করা ৫ ওভারে ভারত নেয় ৩৬ রান। দলে বোলার হিসেবে থাকা মাশরাফি পুরো ১০ ওভার বল করার মতো সাহস দেখাতেও ব্যর্থ। রুবেল এবং মুস্তাফিজুরের মতো বোলার দলে থাকতেও তাদের ঠিক মতো ব্যবহারই করতে পারলেন না টাইগার অধিনায়ক।

বিশ্বকাপের এবারের আসরে ৭ ম্যাচ খেলে একটি মাত্র উইকেট পেয়েছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সব মিলিয়ে করেছেন ১৯ রান। ব্যাট-বল সবেতেই ব্যর্থ টাইগার অধিনায়ক।

৩৫ বছর বয়সী মাশরাফিকে শুধু অধিনায়ক হিসেবে দলে রেখে বাংলাদেশ হয়তো দল হিসেবেও ভুগছে। কারণ মাশরাফি খেলা মানে কার্যত দশজনে খেলছে টাইগাররা। দলে টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব থাকলেও মাশরাফিকেই একদিনের অধিনায়ক রেখেছে বাংলাদেশ। কিন্তু একজন অধিনায়ক যখন সামনে থেকে নেতৃত্ব করতে পারেন না, তখন গোটা দলের মনোবলেও আঘাত লাগা স্বাভাবিক।

২০০৭-এর বিশ্বকাপে একাই ৪ উইকেট নিয়ে ভারতকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ২৩ বছরের মাশরাফি। কিন্তু এখন সেই মাশরাফি যেন শুধুই সেই দিনের ছায়া। প্রশ্ন আরও উঠছে তার দলের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে। ৪৪তম ওভারে ভুবির প্রথম বলটাই ছয় মেরে পরের বলেও মারতে যান তিনি। এবং বল ব্যাট ছুঁয়ে ধরা পরে ধোনির গ্লাভসে। উল্টো দিকে তখন ২৮ বলে ৩৩ করা সইফুদ্দিন সঙ্গী খুঁজছেন ম্যাচ শেষ করার। মাশরাফির এই দায়িত্বজ্ঞানহীন শট ক্রিজে নিয়ে আসে রুবেল, মুস্তাফিজদের। যাদের ফেরাতে বেশি সময় নেননি এই ম্যাচে ৪ উইকেট নেওয়া বুমরা।

তাই এই বিশ্বকাপই মাশরাফির যে শেষ বিশ্বকাপ তা বলাই যায়। তবে এই বিশ্বকাপে আসার আগেও ফর্মে ছিলেন না তিনি। নিয়মিত উইকেটও পাচ্ছিলেন না। দলে আরও বোলার থাকলেও অধিনায়ক মাশরাফিই শুরু করছেন বার বার এবং ব্যর্থ হচ্ছেন। এই জায়েগাটা নিয়ে এ বার ভাবতেই হবে বাংলাদেশকে।