ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

লিবিয়ার বন্দিশিবিরে বিমান হামলায় নিহত ৪০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫৭ পিএম, ৩ জুলাই ২০১৯ বুধবার

লিবিয়ায় অভিবাসীদের একটি বন্দিশিবিরে  বিমান হামলায় কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছে। আরও আহত হয়েছে ৮০ জন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ফলে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নিহতদের বেশিরভাগই আফ্রিকার অভিবাসী। বাকিরা কোন দেশের তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। মঙ্গলবার রাজধানী পোলির কাছে তাজোরা এলাকায় এই হামলা চালানো হয়। এ জন্য জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন স্বঘোষিত লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এলএনএ-কে দায়ী করেছে জাতিসংঘ সমর্থিত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ড বা জিএনএ। এ সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সেরা।

গতকাল এলএনএ ঘোষণা দেয় যে, ত্রিপোলির লক্ষ্যবস্তুতে তারা বিমান থেকে ভারি হামলা চালাবে। কিন্তু এর এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে ওই বন্দিশিবিরে হামলা চালানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অভিবাসীদের আশ্রয়কেন্দ্রে বিমান হামলার খবরকে চরম উদ্বেগের বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক এজেন্সি। সাম্প্রতিক সময়ে অবৈধ পথে ইউরোপ যাওয়ার জন্য অভিবাসীদের কাছে লিবিয়া হয়ে উঠেছে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র।

ইউরোপে পাঠানোর কথা বলে অনেক বিদেশীকে নিয়ে লিবিয়ায় অবর্ণনীয় অবস্থার মধ্যে আটকে রাখে দালালচক্র। তারপর তাদেরকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঠেলে দেয় উত্তাল সমুদ্রে। বহু অভিবাসী এ দেশ থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে সমুদ্রপথে যাত্রা করে মারা গেছেন। সম্প্রতি এমন দুটি ঘটনা ঘটেছে তিউনিশিয়া উপকূলের কাছে।

২০১১ সালে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে নিহত হন লিবিয়ার দীর্ঘ সময়ের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফি। তখন থেকেই এ দেশটিতে সহিংসতা ও বিভক্তি চরম আকার ধারণ করেছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জিএনএ সরকারের বিরুদ্ধে ওই এলাকায় লড়াই করছে শক্তিধর খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন এলএনএ।

এনএম//