উপাচার্যের ফোনের কালো তালিকায় কুবির সাংবাদিকরা
কুবি সংবাদদাতা
প্রকাশিত : ০৩:৪৮ পিএম, ৪ জুলাই ২০১৯ বৃহস্পতিবার
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকদের ফোন নাম্বার কালো তালিকায় দেন। ফলে বিশেষ প্রয়োজনে সংবাদের জন্য তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় না। এমনকি কার্যালয়ে গেলে সহজে সাক্ষাত পাওয়া যায় না। আগে প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দিলেও অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়। উপাচার্যের এমন ব্যবহারে স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে নানা সমস্যা হচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক নেতারা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক সাংবাদিকের মুঠোফোন নাম্বার কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছেন উপাচার্য। এ নিয়ে উপাচার্যের মুঠোফোনের কালো তালিকায় অন্তত ২০ জনের উপরে শিক্ষক ও সাংবাদিক রয়েছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শীর্ষ স্থানীয় জাতীয় দৈনিকের একজন সাংবাদিক বলেন, সংবাদের গুরুত্ব অনুযায়ী অনেক সময় উপাচার্যের বক্তব্য প্রয়োজন হয়। কিন্তু কয়েকমাস আগে তিনি আমার নাম্বার কালো তালিকায় রেখেছেন। যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের জন্য উপাচার্যের বক্তব্য পাওয়া যায় না।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, তোমরা উপাচার্যের বক্তব্যকে এত সস্তা করো না। সবার সঙ্গে কথা বলা আমার সম্ভব নয়। তোমাদের যদি উপাচার্যের বক্তব্য এতই প্রয়োজন হয় তাহলে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিকের নাম্বার আমাকে লিখে দিও আমি সেগুলো সংগ্রহে রাখবো
সাংবাদিকদের ফোন নাম্বার কালো তালিকায় রাখার বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থেই কাজ করি। কিন্তু উপাচার্যের অসহযোগিতা সে কাজকে বাধাগ্রস্ত করে। অধিকাংশ সাংবাদিকের মুঠোফোন নাম্বার কালো তালিকাভুক্ত করার কারণে সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিকদের সমস্যায় পড়তে হয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তোমরা (সাংবাদিক) আমাকে কল দিও না। উপাচার্যকে তোমরা (সাংবাদিক) সস্তা বস্তুতে পরিণত করো না।