দুর্গাপুরের সড়কের বেহাল দশায় নির্বিকার কর্তৃপক্ষ
বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৬:৩৯ পিএম, ৫ জুলাই ২০১৯ শুক্রবার
বেনাপোল পৌরসভার আওতাভুক্ত ২নং ওয়ার্ড দুর্গাপুর গ্রামের সড়কটির বেহাল দশা। সড়কটিতে যানবাহন থেকে শুরু করে পায়ে হেঁটে চলাচল করাই দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন কয়েক সহস্রাধিক মানুষ যাতায়াত করেন। সড়ক ঘেষেই রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রায় দু’শত পরিবারের বসতি। সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে বারংবার পৌরসভায় ধর্ণা দিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানান, শুষ্ক মৌসুমে এ সড়ক ধুলাবালির মরুভূমি আর বর্ষায় কাঁদাপানির সাগরে পরিণত হয়। চোরাগোপ্তা খানাখন্দে পড়ে প্রায়ই বিকল হয় গণপরিবহন। সড়কে চলতে গিয়ে সুস্থ মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এলাকার সন্তান সম্ভাবা নারীদের চলাচলে রয়েছে মারাত্মক ঝুঁকি।
স্থানীয় বাসিন্দা মনি সড়কের বেহাল দশা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দুর্ঘটনার কবলে পরে হাত-পা ভেঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেছে এই এলাকার অনেক মানুষ। দিনে দিনে সড়কটি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। গোটা সড়কের পিচ উঠে গিয়ে অংসখ্য খানাখন্দ তৈরি হয়েছে। বর্ষার পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছে।
সড়কটি সংস্কারের জন্য পৌরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেও লাভ হয়নি।’ এ সড়ক দিয়েই নিয়মিত যাতায়াত করেন একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সজিব। তিনি বলেন,‘আমাদের চলাচলের একমাত্র এই সড়কটির বেহাল দশায় নাভিশ্বাস উঠেছে জনজীবন। ভাঙাচোরা আর গর্তে ভরা সড়কে চলাচল করতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।’
পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের অনুসারী হওয়ায় রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে সংস্কারের নামে এ সড়কটি খুঁড়ে রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক মুকুল। তিনি বলেন,‘সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে জনসাধারণের চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়বে।’
সড়কের সংস্কারের বিষয়ে বেনাপোল পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহাবুদ্দিন মন্টু বলেন, ‘দূর্গাপুরের ঐ সড়কটি বর্তমানে খারাপ সে বিষয়ে আমি অবগত আছি। ঈদের পর লেবার সংকটের কারণে সড়কটি সংস্কার করতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত সড়কটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করা হবে।’
এমএস/কেআই