সিসিসি উচ্চবিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩২ এএম, ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার | আপডেট: ০২:১৭ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার
সিসিসি উচ্চবিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির দ্বিতীয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভাটি ৫ জুলাই শুক্রবার, বিকাল ৪টায় চট্টগ্রামের বাড়বকুণ্ড-এর কাকলী ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদের ২য় মতবিনিময় সভার আহবায়ক মো. গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব সঞ্জীব কুমার দে এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রায় একশ’ জন প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ৮ জুন-২০১৯ অনুষ্ঠিত প্রথম মতবিনিময় সভার কার্যবিবরণী পাঠ করে শুনানো হয় এবং তা অনুমোদন করা হয়। একই সঙ্গে সুবর্ণ জয়ন্তী ও পুনর্মিলনী উৎসবের তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ জানুয়ারি ২০২০, শনিবার।
সভার সিদ্ধান্ত সমূহ- নিবন্ধন ফি ১৯৭০ হতে ২০১০ পর্যন্ত সপরিবার ১ হাজার টাকা, ২০১১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত সপরিবার ৫০০ টাকা। সুবর্ণ জয়ন্তী লোগো ১নং অনুমোদন করা হয় এবং তা আরো আকর্ষণীয় করার জন্য ৯২ ব্যাচের মোহাম্মদ শোয়ায়েবকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সিসিসি উচ্চবিদ্যালয় সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদ- ২০২০ নামে জনতা ব্যাংক লিমিটেড বাড়বকুণ্ড শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলার সিদ্ধান্ত হয়। প্রত্যেক ব্যাচ হতে একজন যুগ্ম-আহবায়ক, ১৯৯০ পর্যন্ত ২ জন সদস্য এবং ২০১৯ পর্যন্ত ৩ জন সদস্য নিয়ে সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন পরিষদ- ২০২০ পূর্নাঙ্গ করার জন্য প্রধান শিক্ষক ও সদস্য সচিব সঞ্জীব কুমার দে, বিজয় কুমার দেব, মো.মহসিন, মোহাম্মদ শোয়ায়েবকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে নিবন্ধন সচিব-বিজয় কুমার দেব, অর্থ সচিব-খালেদা আফরোজ, প্রচার সচিব-মোহাম্মদ শোয়ায়েব, দপ্তর সচিব-জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটি, আহবায়ক-সাইফ ইসলাম দিলাল, সদস্য সচিব-মোহাম্মদ শোয়ায়েবকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা কমিটি গঠন-১২ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৪টা, ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। চট্টগ্রাম সিটি কমিটি গঠন- ২২ জুলাই সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সীতাকুণ্ড সমিতি-চট্টগ্রাম কার্যালয়ে। সেই সঙ্গে ২ হাজার কপি নিবন্ধন ফরম ও ১শ’ কপি বিজ্ঞাপন ফরম ছাপানোর সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সব শেষে সমন্বয়ক ছাদাকাত উল্যাহ মিয়াজী সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য, বিদ্যালয়টি ১৯৭০ সালে বিসিআইসি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রাথমিকভাবে পাঠদান শুরু করে। পরে ১৯৭২ সালে নিম্ন মাধ্যমিক এবং ১৯৭৫ সালে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত হয়। ১৯৭০ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত এটি বিসিআইসি কর্তৃক পরিচালিত হয়। ২০০৩ সালে সিসিসি (চিটাগাং কেমিক্যাল কমপ্লেক্স) কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০০৪ সালের ১লা মে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়।
বিদ্যালয়টি ৩.৮৭ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত। বিদ্যালয়ের মূল ভবনটি একটি দক্ষিণমুখী দ্বিতল ভবন। এছাড়া একটি টিনের আধাপাকা ঘর আছে। একটি প্রধান শিক্ষক কার্যালয়, একটি শিক্ষক মিলনায়তন, একটি অফিস সহকারীর কক্ষ, একটি ছাত্রী মিলনায়তন সহ সর্বমোট ২১টি কক্ষ রয়েছে। বিদ্যালয়ের সামনে ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধুলার জন্য বিশাল খেলার মাঠ রয়েছে।
বর্তমানে সাত শতাধিক শিক্ষার্থী এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছে। প্রত্যেকে বছর এসএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের পাশাপাশি খেলাধুলায় ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৃতিত্বের সাথে সুনাম অর্জন করে চলেছে। একসময় এস্কুলের নাম ছিল বিআইডিসি উচ্চ বিদ্যালয়।
এসএ/