ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেল প্রাচীন শহর ব্যাবিলন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৫১ পিএম, ৬ জুলাই ২০১৯ শনিবার

চার হাজার বছরের পুরনো মেসোপটেমিয়ার প্রাচীন শহর ব্যাবিলনকে বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।

শুক্রবার আজারবাইজানে জাতিসংঘের বিশ্ব ঐতিহ্য কমিটির তালিকায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৩ সাল থেকে স্থানটিকে জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ স্থান হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে ইরাক।

যে সকল স্থাপনা বা এলাকা গোটা মানবজাতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিবেচিত হয়, সেগুলোকে সংস্থাটি এ স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। এর ফলে স্থানগুলোকে আন্তর্জাতিক চুক্তির অধীনে সুরক্ষা দেওয়া হয়।

তারই অংশ হিসেবে মানব সভ্যতার অনন্য এ নিদর্শনকে স্বীকৃতি দিলো ইউনেস্কো।

প্রাচীন ব্যাবিলনের এ ঝুলন্ত উদ্যান  সপ্তাচার্যের ‍একটি হিসেবে পরিচিত।

তবে ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের সময় এবং সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে মার্কিন বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারকালে অনেক স্থান ধ্বংস্তুপে পরিণত হয়।

এদিকে ব্যাবিলনকে এমন মর্যাদা দেওয়ায় ইউনেস্কোকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির সাধারণ মানুষ।

এর মাধ্যমে ব্যাবিলন ও মেসোপটেমিয়ার সভ্যতার তাৎপর্যকে স্বীকার করে নেওয়া হল বলে মনে করছেন তারা।

কমিটিতে ইউনেস্কো বলেছে, “হাম্মুরাবি ও নেবুচাডনেজারের মতো শাসকের অধীনে ধারাবাহিক সাম্রাজ্যের কেন্দ্র ব্যাবিলন নব্যব্যাবিলনীয় সাম্রাজের সৃষ্টিশীলতার সেরা সময়ের প্রতিনিধিত্ব করে।

‘এই শহরটির ঝুলন্ত উদ্যান প্রাচীন বিশ্বের সপ্ত আশ্চর্যের অন্যতম, এটি বিশ্বব্যাপী শৈল্পিক, জনপ্রিয় ও ধর্মীয় সংস্কৃতিকেও অনুপ্রাণিত করেছে।’

তবে নবঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের এই অংশটি ‘অত্যন্ত হুমকির মধ্যে’ রয়েছে জানিয়ে সতর্ক করেছে তারা এবং জরুরিভিত্তিতে এই ঐতিহ্যটি সংরক্ষণ করা দরকার বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।

এর আগেও ২০০৫ সালে ব্রিটিশ মিউজিয়াম সতর্ক করে বলেছিল, মার্কিন বাহিনীর হামলার কারণে স্থাপনাটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। এছাড়া, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন জুড়ে ১২টি পরিখা খনন করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল ব্রিটিশ মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ। 

সূত্র : বিবিসি

আই/