ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪,   আশ্বিন ২১ ১৪৩১

বিলের দখল নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই নাসিরনগরে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা

প্রকাশিত : ০১:৫৮ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৬ শুক্রবার | আপডেট: ০১:৫৮ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০১৬ শুক্রবার

বালিঙ্গা বিলের দখল নিয়ে নাসিরনগরের হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং প্রতিপক্ষের দ্বন্দ্বের কারণেই বাড়িঘর, মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগিরা। একুশে টেলিভিশনের অনুসন্ধানে জানা গেছে, জেলে সমিতির আগের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে হরিনবেড় গ্রামের রসরাজ দাসকে নেতৃত্বে আনায় তাকে ফেইসবুক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়। নাসিরনগরের ঘর-বাড়ি, মন্দিরে হামলার ঘটনার শুরুটা হয় ২৯ অক্টোবর হরিপুর ইউনিয়নের হরিনবেড় গ্রাম থেকে। সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক আহমদকে চেয়ারম্যান প্রার্থী করা হয়। প্রতিপক্ষের বিক্ষোভে তাকে বাদ দেয়া হয়। প্রার্থী হন জেলা আওয়ামী লীগ সমর্থিত আতিকুল ইসলাম আঁখি। তিনি জয়ী হলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চরমে উঠে। হরিনবেড়ের অধিকাংশ বাসিন্দাই পেশায় জেলে। গ্রামর পাশেই বালিঙ্গা বিল। ইউপি নির্বাচনে নির্বাচনে দলের সমর্থন না পাওয়া ফারুক জেলেদের একটি সমিতির কমিটি ভেঙ্গে দেন। তার আস্থাভাজন রসরাজ দাসকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি করেন। পঞ্চম শ্রেণী পাস রসরাজের নামে ফেইসবুকে একটি পোস্ট উত্তপ্ত করে তোলে পুরো উপজেলা। তবে রসরাজের নিজে এটি করতে পারে বলে বিশ্বাস করেন না কেউই, এমনকি বিরোধীরাও। গত মাসের ২৬ তারিখ রসরাজের ফেইসবুকের পোষ্টটি জানাজানি হয়। দুদিন পর বিক্ষুব্ধরা রসরাজকে মারধর করে পুলিশে দেয়। পরের দিন বিক্ষোভ সমাবেশ ডাক দেয়। পরের দিন সহিংসতার ব্যপ্তি দেখে মন্ত্রীর সমর্থকরা এবং তার বিরোধী স্থানীয় নেতারা তা ঠেকানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। হামলা দ্রুত ছড়ায় পুরো নাসিরনগর উপজেলায়। তিনদিন পর দুই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং এক ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে বহিস্কার করে জেলা কমিটি। জেলা কমিটির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী ছায়েদুল হক। তবে দল থেকে কাউকে বহিষ্কারে স্থানীয় সাংসদকে আগে জানানোর প্রযোজন মনে করেনা জেলা আওয়ামী লীগ। হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানও দুষলেন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠজনদের। হামলা প্রেক্ষিত তৈরিতে স্থানীয় নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের ভ’মিকা নিয়ে এলাকাবাসী মুখ খুলতে না চাইলেও নেতাদের কথাতেই প্রকাশ পায় প্রতিহিংসা, যা থেকেই জ্বলে উঠা সম্ভব সহিংসতার আগুন।