পলাশবাড়ীতে যাতায়াতের পুরনো রাস্তা বন্ধের অভিযোগ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৫:০০ পিএম, ৮ জুলাই ২০১৯ সোমবার
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় যাতায়াতের দুই যুগের পুরনো একটি সচল রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে ১০-১২টি পরিবারকে গৃহবন্দির মত জীবন যাপন করতে হচ্ছে।
পারিবারিক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কলেজ শিক্ষক অরবিন্দ চন্দ্রের বিরুদ্ধে গাছ রোপণ ও খুঁটি পুঁতে রাস্তাটি বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তা বন্ধ হওয়ায় গত এক সপ্তাহ ধরে ১০-১২টি পরিবারকে গৃহবন্দির মত জীবন যাপনের অভিযোগে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। এছাড়া উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১ জুলাই সোমবার পলাশবাড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হলেও ঘটনার সমাধানে কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযুক্ত অরবিন্দু চন্দ্র ও তার লোকজন বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।
অভিযোগে জানা যায়, পলাশবাড়ী উপজেলার ১নং কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের রাঙামাটি গ্রামের মৃত কিনু রাম চন্দ্রের ছেলে সুবল চন্দ্র গংদের সঙ্গে প্রতিবেশী মৃত অর্জুন চন্দ্রের ছেলে পলাশবাড়ী এমএ সামাদ কারিগরি কলেজের শিক্ষক অরবিন্দু চন্দ্র গংদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব ও বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে গত ১ জুলাই সকালে শিক্ষক অরবিন্দুর নেতৃত্বে তার লোকজন বিভিন্ন গাছ লাগিয়ে ও বেড়া দিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগে আরও বলেন, রাস্তা বন্ধে বাধা দিলে অরবিন্দু ও তার লোকজন সুবল গংদের ওপর হামলা করে। এতে সুবলসহ তার পরিবারের কয়েকজন গুরুতর আহত হয়। এসময় আহতদের চিকিৎসা নিতে বাধা দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে অরবিন্দু ও তার লোকজন।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে। আহতদের পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এদিকে বিষয়টি জানতে অভিযুক্ত অরবিন্দু চন্দ্রের বাড়িতে গিয়েও তার দেখা মেলেনি। তবে বাড়িতে থাকা পরিবারের কয়েকজন নারী রাস্তা দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ওই জমি তাদের হওয়ায় গাছ রোপণ করে দখলে নিয়েছেন।
এএইচ/এসি