ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ভারতীয় বোলিং তোপে চাপে নিউজিল্যান্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:১৬ পিএম, ৯ জুলাই ২০১৯ মঙ্গলবার

ভারতীয় বোলিং তোপে মাত্র এক রানেই গাপটিলকে হারিয়ে বেশ চাপেই পড়ে নিউজিল্যান্ড। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন এসে সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই জাদেজার ঘূর্ণিতে আরেক ওপেনার নিকোলসকে হারায় কিউইরা। সরাসরি বোল্ড হন এই বাঁহাতি।

ফলে ৬৯ রানেই দ্বিতীয় উইকেট চলে যায় ব্ল্যাকক্যাপদের। সাজঘরে ফেরার আগে ৫২ বলে দুই চারে ২৮ রান করেন নিকোলস। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১৯ ওভারে কিউইদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭০ রান। ক্রিজে আছেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৩১ রান নিয়ে।

এর আগে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে স্লিপে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরেছেন আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিল। আউট হওয়ার আগে ১৪ বল ফেস করে মাত্র ১ রান যোগ করতে পেরেছেন তিনি।

আজ চলতি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হয় নিউজিল্যান্ড। বিশ্লেষকদের চোখে ফাইনালে ওঠার পথে ভারতই ফেবারিট। কিন্তু ইতিহাস চোখরাঙানি দেখাচ্ছে কোহলির দলকে। কেননা বিশ্বকাপে সাতবারের মোকাবেলায় চারবারই জিতেছে কিউইরা। আর ইংল্যান্ডের মাটিতে তিনবার মোকাবেলায় তিনবারই হেরেছে ভারত।

তাই লড়াইটা যেহেতু মাঠের, সেহেতু কোহলিদের ভাবনা তো থাকছেই। নতুন ম্যাচ আর প্রতিপক্ষ দলটি বরাবরই বিশ্বকাপের ‘ডার্ক হর্স’। গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হলে তবু একটা ধারণা থাকত বিরাট কোহলির দলের। কিন্তু বৃষ্টি হানা দেওয়ায় ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ মাঠে গড়ায়নি। এতে এ বিশ্বকাপে ভারতকে প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হতে হচ্ছে সেমিফাইনাল ম্যাচে।

সঙ্গে থাকছে বৃষ্টি নামার শঙ্কা। অর্থাৎ সেটি না হলেও আকাশ তো মেঘলা থাকবে, তার মানে কিউই পেসারদের পোয়াবারো। ভারতের ফাইনালে ওঠা তাই মোটেও সহজ হওয়ার কথা নয়।

সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে পরিসংখ্যানও। বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তেমন একটা সুখকর পারফরম্যান্স নেই ভারতের। বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত সাতবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে চারবারই হেরেছে ভারত। আর ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে কিউইদের বিপক্ষে পারফরম্যান্স দেখলে আজকের ম্যাচে ভারত নয়, নিউজিল্যান্ডই ফেবারিট! ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপে তিনবার নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়ে একবারও যে জয়ের মুখ দেখেনি ভারত!

ম্যানচেস্টারে তাই আজ ফিরতেই পারে ১৯৭৫ বিশ্বকাপের স্মৃতি। সেবার এ মাঠেই গ্রুপ পর্বের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৪ উইকেটে হেরেছিল ভারত। পরের বিশ্বকাপে (১৯৭৯) লিডসে ৮ উইকেটে হারে উপমহাদেশের দলটি। সবশেষ হার ১৯৯৯ বিশ্বকাপে, ৫ উইকেটে। এ তিন ম্যাচেই আগে ব্যাট করে একবার আড়াই শর নিচে, একবার দুই শর নিচে এবং আরেকবার ২৫১ রান তুলতে পেরেছে ভারত।

আর এ তিন ম্যাচে ভারতের হারানো মোট ২৬ উইকেটের মধ্যে ২৩ উইকেটই নিয়েছেন কিউই পেসাররা। অর্থাৎ ইংল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের পেসাররা বরাবরই ভালো। ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরি, লকি ফার্গুসনদের তাই চোখ চকচক করে ওঠার কথা। আর কিউই পেসারদের তোপের মুখে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হচ্ছে ভারতীয় টপ অর্ডারকে।

এদিকে আজ নিউজিল্যান্ড ও ভারত উভয় দলেই রয়েছে একটি করে পরিবর্তন। সেমির এ ম্যাচে কিউই দলে টিম সাউদির পরিবর্তে ফিরেছেন লকি ফার্গুসন। আর ভারতীয় দলে কুলদিপের পরিবর্তে ঢুকেছেন যুজবেন্দ্র চাহাল।

 

এনএস/